বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স দিন, সুবিধা বাড়বে: মেয়র আতিক

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৩

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্যাক্স পরিশোধ করতে এখন আর সিটি করপোরেশনে যেতে হয় না। অনলাইনে ঘরে বসে ট্যাক্স দিন। জবাবদিহিতার মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সও দেয়া হবে।’

নিয়মিত নগরবাসীকে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের অনুরোধ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। জানিয়েছেন, নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স দিলে নগরের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে।

নাগরবাসীর সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা সরাসরি জানতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও স্থানীয় জনগণকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করছে ডিএনসিসি। তার অংশ হিসেবে বুধবার সকালে মেয়র আতিক মিরপুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে মতবিনিময়ে তিনি এমন কথা বলেন।

সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিক বলেন, ‘নগরের উন্নয়নে জনগণের সহযোগিতার বিকল্প নেই। জনগণ ঠিকমতো এবং নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করলে উন্নয়ন কাজ করার জন্য সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

‘ট্যাক্স পরিশোধ করতে এখন আর সিটি করপোরেশনে যেতে হয় না। অনলাইনে ঘরে বসে ট্যাক্স দিন। জবাবদিহিতার মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সও দেয়া হবে।’

নির্বাচনের সময় প্রতি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে উত্তর সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। জনগণের সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা শোনার জন্য আমি প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছি। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি শোনার জন্যই আমি এসেছি। আপনাদের দাবি পূরণ করে সুন্দর নগর গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।’

কাউন্সিলররা স্ব স্ব ওয়ার্ডে ঘুরে সমস্যা চিহ্নিত করবে ও ব্যবস্থা নেবে উল্লেখ করে আতিকুল বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলররা সবার কাছে যাবে। ওয়ার্ডে ঘুরে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা নেবে। কাউন্সিলরদের মাঠে থাকতে হবে। জনগণের সাথে সংযোগ রক্ষা করতে হবে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এলাকায় এমন কিছু সমস্যা থাকে যেগুলো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে সমাধান সহজ হয়।

মেট্রোরেল চালু হলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হবে বলে জানান মেয়র। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপর দিয়ে মেট্রোরেল তৈরি করে দিয়েছেন। এখন নিচের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করে মেট্রোরেলের সাথে কানেক্টিভিটি তৈরি করে দেব। আইসিএম (ইন্টিগ্রেটেড করিডর ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্পের আওতায় এই কাজগুলো করা হবে।’

এ সময় রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য নগরবাসীকে প্রয়োজনীয় জায়গা ছেড়ে দেয়ারও আহ্বান জানান আতিকুল ইসলাম।

এ বছর আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে বলেও জানান মেয়র। সে জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বলেন, ‘ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ঈদে মাত্র ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। অতএব জনগণ সহযোগিতা করলেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসা-বাড়ির পয়বর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে বা খালে দেয়া যাবে না। নিজেদের বাসা বাড়িতে নিজস্ব ব্যবস্থায় এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। খালগুলোকে বাঁচাতে হবে। জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে হবে।’

এ সময় স্থানীয়রা মেয়রের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা দাবি জানান মাঠের। সে এলাকায় করপোরেশনের মাঠ নির্মাণের মতো জমি নেই বলে জানান মেয়র। তবে বিভিন্ন সংস্থার কাছে মাঠের জমির জন্য আবেদন করা হয়েছে। পেলেই মাঠ করে দেয়া হলে বলে প্রতিশ্রুতি দেন আতিকুল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদ আলী।

এ বিভাগের আরো খবর