আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পূর্ণরূপে ফিরে না আসা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান, খনন ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার, খনন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা অক্টোবর থেকে আদি বুড়িগঙ্গা খনন, সীমানা নির্ধারণ ও দখলমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। কালুনগর স্লুইস গেটের যে জায়গায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি, অক্টোবর মাসেও এখানে প্রবাহ পুরো বন্ধ অবস্থায় ছিল। আজ এখানে নদীর প্রবাহ দৃশ্যমান।
‘আমরা অনেকটা এলাকা দখলমুক্ত করেছি। এখানে বিভিন্ন কারখানা, উঁচু ভবনগুলো ভাঙার প্রক্রিয়া চলমান। নদীর পাশ দিয়ে দুটি ঢাল বা দুটি তীর এখন দৃশ্যমান হয়েছে। এ কার্যক্রম চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণরূপে আমরা আদি বুড়িগঙ্গা ফিরিয়ে আনতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ চলবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার, খনন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার-পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গার পুরো ৭ কিলোমিটারই আমরা দখলমুক্ত করব। নতুন করে খনন করব এবং দুপাশ দিয়েই হাঁটা ও সাইকেল চালানোর পথ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। এটা অত্যন্ত দুরূহ এবং বিশাল কর্মযজ্ঞ। আমরা শুরু করেছি মাত্র। আমরা আশাবাদী ঢাকাবাসী একটি নান্দনিক পরিবেশ পাবে। নদীকে ফিরে পাবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা কেবল কাজ শুরু করলাম। কাজটি বর্ষা মৌসুমের আগে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। কারণ বর্ষার মধ্যে কাজ করা আরও দুরূহ। সুতরাং আমি মনে করি আগামী মার্চের মধ্যেই আমরা আরও অনেক কাজ দৃশ্যমান করতে পারব। নদীর অববাহিকা দেখতে পাবো।’
এর আগে মেয়র তাপস ডেমরা এলাকায় ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন, ফ্রেঞ্চ রোডের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও মাজেদ সরকার সড়কের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেন।
ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।