রওশন এরশাদের পক্ষে থাকার কথা বলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটেতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জানান, দল থেকে বহিষ্কারের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করে আদালতে মামলা করেছেন। এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দলীয় কার্যক্রমের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘জি এম কাদের তার এক বিশ্বস্তকে দিয়ে আমার কাছে খবর পাঠান। বলেন, আমি কোন পক্ষে আছি। আমি বলেছি, ম্যাডামের (রওশন এরশাদ) পক্ষে আছি। কারণ, তিনি এরশাদের স্ত্রী। জাতীয় পার্টি হচ্ছে এরশাদের পরিশ্রমের ফসল, ঘামের ফসল, চিন্তা-চেতনার ফসল এবং মন-মননের ফসল। কাজেই রওশন এরশাদের এই পার্টিতে আমি আছি। এরপরই আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে যে দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে তা বেআইনি, অবৈধ, যার কোনো ভিত্তি নেই।’
ঢাকা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা মূলত ডিক্লারেশন মোকদ্দমা। সিভিল রাইট প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের মামলা করা হয়।’
এই মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্টি চেয়ারম্যান কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবেন না বলে আদালত আদেশ দিয়েছে বলে দাবি করেন মৃধা।
যে সম্মেলনে জি এম কাদের চেয়ারম্যান হয়েছেন, সেই সম্মেলনও মেনে নিতে পারেননি বলেও জানান জাপার সাবেক এমপি। বলেন, ‘এ সম্মেলনে রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না। এরশাদের কোনো ওয়ারিশ উপস্থিত ছিলেন না। এ অবস্থায় এই সম্মেলনকে আমি মেনে নিতে পারি না। জি এম কাদের সম্মেলনের অনেক আগে থেকেই রওশন এরশাদের বিরোধিতা করে আসছেন।’
‘যার কোনো কাজ নাই তাকে উপদেষ্টা করা হয়, আমাকেও করা হয়েছে’- এমন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি দুইবার এমপি ছিলাম। আমাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য না করে হঠাৎ একদিন বলা হলো উপদেষ্টা করা হয়েছে।
‘যার কোনো কাজ থাকে না সে উপদেষ্টা হয়। জাতীয় পার্টিতে যার কোনো ভূমিকা নেই সে হচ্ছে উপদেষ্টা। যাই হোক আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি অনেক পপুলার। আমাকে টিকিট দিলে আমি পাস করতে পারব, এটাই হচ্ছে মূল কথা।’
জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ গোফরান, নুরুল ইসলাম মিলন, জাফর ইকবাল সিদ্দিকি, ইকবাল হোসেন রাজু, এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।