বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যানসারে মৃত্যু বছরে লাখের বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:০০

নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার ও জরায়ু ক্যানসারে অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিজেদের প্রথমে সচেতন হতে হবে। তারপর স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে ক্যানসারের রোগী সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ লাখ এবং বছরে এক লাখের বেশি মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। বলেছেন, করোনাভাইরাতে গত দুই বছরে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার তিন গুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারে।

এই মৃত্যুর একটি বড় অংশই হয় জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যানসারে। প্রতি ১৩ হাজার মানুষের মধ্যে ৭ স্তন ক্যানসারে এবং প্রতি ৮ হাজারের মধ্যে ৫ জন জরায়ু ক্যানসারে মারা যায়।

বুধবার রাজধানীতে জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার ও জরায়ু ক্যানসারে অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিজেদের প্রথমে সচেতন হতে হবে। তারপর স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আগে জানতে হবে রোগগুলো কেন হয়। পরিবেশ দূষণের কারণে হয়, পানি যদি পরিষ্কার না থাকে, আর্সেনিক থাকে তাহলেও রোগ হয়। খাবারে রঙ মেশানো হয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার আমরা খাচ্ছি। আমরা ধূমপান করি, তামাক সেবন করি। যার ফলে গলার ক্যানসার, পেটের ক্যানসার- এ রকম বিভিন্ন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হই।’

উচ্চতর চিকিৎসা এবং চিহ্নিত করার জন্য স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত করা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা স্ক্রিনিং করতে আসবে, তাদেরকে পরীক্ষা করে ডাটা সংগ্রহ করে বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

এ জন্য ২০০ টি স্ক্রিনিং স্পট চালু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্ক্রিনিং করেই থেমে থাকা যাবে না। তার পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

স্তন ক্যানসার শনাক্তে মেমোগ্রাফি নামে উচ্চতর স্ক্রিনিং ব্যবস্থা প্রতিটি হাসপাতালে চালু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু জরায়ু এবং স্তন ক্যানসার নয়, সব ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করব।’

বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘এই সফলতার জন্য আমাদের সব কিছু এখন স্বাভাবিকভাবে চলছে।

‘চিকিৎসক, নার্স এবং চিকিৎসক সমাজের পরিশ্রমের বিনিময়ে আমরা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই শিল্প কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে চলছে। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন।’

প্রতিটি উপজেলায় কমিউনিটি পর্যায়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ডায়রিয়া, কলেরা, পোলিও এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বিশ্বে বাংলাদেশসই অসংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ক্যানসার, কিডনি, হৃদরোগের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করে। থার্ড বা ফোর্থ স্টেজে আসার পর ডাক্তারদের আর কিছু করার থাকে না।

‘আমরা স্তন এবং জরায়ু ক্যানসারের স্ক্রিনিং এর জন্য আরও একটি ভবন তৈরি করতে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতায় আমরা এই সেক্টরেও সফলতা অর্জন করব।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম আমিনুল মুরশিদ, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নার্সরাও।

এ বিভাগের আরো খবর