বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারেকের দেশে আসার সৎ সাহস নেই: কাদের

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৪৬

‘সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস। দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই। আসলে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আসার ‘সৎ সাহস’ নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বিএনপি নেতার রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘আসলে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি।’

সরকার জিয়া পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বুধবার এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা। রাজধানীর সেতু ভবনে এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

আগের দিন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে দুর্নীতির একটি মামলায় গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় ঢাকার একটি আদালত। প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার জিয়া পরিবারকে ভয় পায় বলে আদালতের মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছে। এই ধরনের মামলার কারণে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল।

কাদের বলেন, ‘সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস। দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই। আসলে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি।’

বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজা ও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির মামলায় তারেক রহমানের দুই বছরের সাজা হয়েছে। কিন্তু তিনি দেশে না আসায় একটি সাজাও কার্যকর হচ্ছে না।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তারের পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়ে আর ফেরেননি বিএনপির এই নেতা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ায় রাতে তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

তারেক দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি নিয়ে সরকারকে দায়ী করার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘সব কিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভ্যাস ও সংস্কৃতি।

‘দুদকের মামলায় সস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এটি আইনগত প্রক্রিয়া, এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। সরকার ও সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা করেছে, কারো কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে- এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করছে।’

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘৭৫-এর আগস্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।’

সব কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে তারেক রহমানের মৃত্যুতে সান্ত্বনা দিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথাটিও তুলে ধরেন কাদের। বলেন, ‘তখন কী অমানবিক আচরণ করেছিলেন আপনারা?

‘খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে। তখনও কী ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন আপনারা? তার পরও বিএনপির সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ তখন দেশের ও জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে উদারতা দেখিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর