বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বজনদের নিয়ে ১৮ কোটি টাকা সরিয়েছেন ই-অরেঞ্জের সোনিয়া: বিএফআইইউ

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৪৪

ই-অরেঞ্জ, অরেঞ্জ বাংলাদেশ ও রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের নামে ১৩টি হিসাব খুলে লেনদেন করেন তারা। এই ১৩ হিসাবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেনদেন করা হয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবীন তার স্বজনদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এবং এর সংশ্লিষ্ট হিসাব থেকে সরিয়েছেন সাড়ে ১৮ কোটি টাকা।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার লিখিত আকারে এই তথ্য জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ফিনানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, সোনিয়া মেহজাবীন, তার ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা ও চাচা মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ মিলে ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা সরিয়েছেন।

এতে বলা হয়, ই-অরেঞ্জ, অরেঞ্জ বাংলাদেশ ও রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের নামে ১৩টি হিসাব খুলে লেনদেন করেন তারা। এই ১৩ হিসাবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেনদেন করা হয়।

এই সময়ে ১ হাজার ১১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জমা ও ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৭ লাখ কোটি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ২২১ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।

সোনিয়া ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানের নামে ২৪টি হিসাবে লেনদেন করা হয়। ওই ২৪ হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি প্রায় ১২০ কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করেছেন।

এসব হিসাব স্থগিতের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইডির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পরিচালিত সব হিসাবে লেনদেন ২০২১ সালের ২৫ জুলাই স্থগিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে এটির মালিকানায় সোনিয়া মেহজাবিন থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা পরিবর্তন করে তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত) শেখ সোহেল রানার স্ত্রী নাজনীন নাহারা বিথির নামে হস্তান্তর করা হয়।

অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে বলা হয়, সোনিয়া মেহজাবিন, স্বামী মাসুকুর রহমান, ভাই শেখ সোহেল রানা ও চাচা মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ নগদে টাকা উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং নিজ নামে ক্রয় করার জন্য মোট ১৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে স্থানান্তর/উত্তোলন করেন।

গ্রাহকদের কাছ থেকে আগাম দাম নিয়ে কাঙ্ক্ষিত পণ্য সরবরাহ না করে ওই প্রতারণা করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

ই-অরেঞ্জ থেকে প্রতারণার শিকার দাবি করে ৫৪৭ গ্রাহকের পক্ষে একটি রিট করা হয়। ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে।

একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে প্রতিবেদন চায় হাইকোর্ট। সেই আদেশ অনুযায়ী এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

বুধবার আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর