ঢাকা-তাসখন্দ বিমান চলাচলে এক টিকিটে দুই এয়ারলাইন্স ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছে উজবেকিস্তান। অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলে দ্রুত চূড়ান্ত চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস তাসখন্দের উদ্যোগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও উজবেকিস্তান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. যাহিদ হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ বিমান ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
উজবেকিস্তানের পক্ষে অংশ নেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার জাসুরবেক চরিয়েভের নেতৃত্বে উজবেক এয়ার ও উজবেক এভিয়েশনের কর্মকর্তারা। সভায় উজবেক ডেপুটি মিনিস্টার কোড শেয়ারিং-এর মাধ্যমে বিমান চলাচলের পক্ষে আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব উজবেক কর্তৃপক্ষের কাছে এর আগে পেশ করা এয়ার সার্ভিস চুক্তির খসড়া দ্রুত অনুমোদনের অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে উভয় দেশের কারিগরি কমিটি গঠন করে পরস্পর বিমান চলাচল শুরুর বিষয়টি ত্বরান্বিত করার অনুরোধ করেন।
উজবেক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাদের সম্মতি দিয়ে দ্রুত চুক্তি অনুমোদনের আশ্বাস দেন।
ভার্চুয়াল সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বাংলাদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বিশ্বের বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, মাজারসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় পর্যটনের বিষয় উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি উজবেকিস্তানের হযরত ইমাম বোখারী, ইমাম তিরমিজি, ইমাম নকশবন্দীর মাজারসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানের উল্লেখ করে দুদেশের মধ্যে জিয়ারা ট্যুরিজম চালুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন ও সহজতর করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।