বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌন হয়রানি: সত্যতা পেলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেই ব্যবস্থা

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৪২

অভিযোগকারী ছাত্র বলেন, ‘আমরা যারা অভিযোগ করেছি, তারা পড়ালেখার কথা চিন্তা করে করিনি। কারণ আমরা কলেজ শেষ করার পর সেখান থেকে চলে আসলে তো আবার ওই শিক্ষক আমাদের ছোট ভাইদের সঙ্গেও একই কাজ করবে। এই কথা চিন্তা করেই আমরা অভিযোগ দিয়েছি প্রায় এক মাস হলো, এখনও কোনো বিচার হয় নাই।’

ঢাকার ধামরাইয়ে ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগ অনেকদিনের। সম্প্রতি কয়েক ছাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি করা হয়। অভিযোগের সত্যতার পাওয়ার প্রতিবেদন প্রায় এক মাস আগে জমাও দেয়া হয়।

এখনও আমিনুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ছাত্ররা ক্ষুব্ধ।

নিউজবাংলার কাছে এই ক্ষোভ জানিয়েছেন ছাত্ররা।

ওই কলেজে গিয়ে মঙ্গলবার কথা হয় অভিযোগকারী ছাত্রদের সঙ্গে।

তাদের একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই স্যার মেয়েদের না শুধু ছেলেদের হয়রানি করেন। অনেক আগে থেকেই করে আসছেন।পড়ালেখার কথা চিন্তা করে কেউ মুখ খোলেনি।

‘আমরা যারা অভিযোগ করেছি, তারা পড়ালেখার কথা চিন্তা করে করিনি। কারণ আমরা কলেজ শেষ করার পর সেখান থেকে চলে আসলে তো আবার ওই শিক্ষক আমাদের ছোট ভাইদের সঙ্গেও একই কাজ করবে। এই কথা চিন্তা করেই আমরা অভিযোগ দিয়েছি প্রায় এক মাস হলো, এখনও কোনো বিচার হয় নাই।’

অভিযোগকারী আরেক ছাত্র বলেন, ‘আমিনুল স্যার আমাকে একদিন কন্ট্রোল রুমে ডেকে নিয়ে যায়, যৌন নির্যাতন করে। একথা কাউকে বললে আমাকে পরীক্ষা দিতে দিবে না এমন ভয় দেখায়।’

কলেজের আরেক ছাত্র বলেন, ‘স্যার বিভিন্ন সময় সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় কৌশলে ছেলেদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। মেসেঞ্জারে বিভিন্ন হয়রানিমূলক কথা বলে। নগ্ন ছবি চায়। তার এমন নোংরা কাজে কলেজের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক ছাত্র তার যৌন নির্যাতনের শিকার। অবিলম্বে আমরা তার প্রত্যাহার ও কঠিন শাস্তি দাবি করছি।’

ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, কলেজের ১০ জন ছাত্র আমিনুলের বিরুদ্ধে ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকির কাছে অভিযোগ দেন। ইউএনও হোসাইন ওই কলেজেন গর্ভনিং বডির সভাপতিও।

অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি করেন তিনি। কমিটিপ্রধান কলেজের আরেক প্রভাষক হাবিবুর রহমান হাবিব গত ৩ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেন।

হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তে যা পেয়েছি সেটা তো ভাষায় প্রকাশ করা করা যায় না... ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।’

তিনি জানান, প্রভাষক আমিনুল এখন আর কলেজে আসছেন না।

এ বিষয়ে জানতে আমিনুলকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠালেও উত্তর মেলেনি। পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও কেন এতদিনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা তো ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করছে। সেই এটার সিদ্ধান্ত নেবে। আমার কাছে তো অভিযোগ নাই। ইউএনও স্যার তো ব্যবস্থা নেবেই। এক সপ্তাহের মধ্যে এটার সিদ্ধান্ত দেবে।’

এ বিষয়ে ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। শিগগিরি আপনারা ফল জানতে পারবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর