বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতে রাস্তা ছাড়লেন শ্রমিকরা

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২২ ২০:৪২

অলিও অ্যাপারেলস নামের কারখানাটি উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে রাজধানীর দক্ষিণখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিনা নোটিশে কারখানা সরানোর ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। গার্মেন্টসটি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর এনভয় গ্রুপের মালিকানায় বলে জানা গেছে।

মতিঝিলে অলিও অ্যাপারেলস নামের গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মালিকপক্ষের আশ্বাস পেয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে শ্রমিকরা রাস্তার অবস্থান থেকে সরে যান।

গার্মেন্টসটি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর এনভয় গ্রুপের মালিকানায় বলে জানা গেছে।

শ্রমিক অসন্তোষের ফলে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসনে মালিকপক্ষ, শ্রমিক ও বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনার পর সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে বক্তব্য জানতে এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কারখানার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ফলে মঙ্গলবার সকালে মতিঝিল ও কমলাপুর এলাকায় যানজট তৈরি হয়। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন আশেপাশের বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। দিনভর চেষ্টাতেও পুলিশ যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি।

শ্রমিকরা জানান, অন্য দিনের মতো শ্রমিকরা সকালে অলিও অ্যাপারেলস নামের কারখানায় আসেন। তারা গেটে দেখতে পান দক্ষিণখানে কারখানা স্থানান্তরের নোটিশ। উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে বিনা নোটিশে কারখানা সরানোর ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। তারা একত্রিত হয়ে এক পর্যায় রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে মতিঝিল ও কমলাপুরের কয়েকটি সড়কে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে বিভিন্ন সড়কে দিনভর গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। মালিকপক্ষ থেকে কেউ আশ্বাস না দেয়ায় মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত তাদেরকে সড়কে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এড়াতে মতিঝিল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে সড়কে অবস্থান করেন। মালিকপক্ষ, বিজিএমইএর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।’

হামিদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে এই গার্মেন্টেসে কাজ করি। সকালে এসে দেখি গার্মেন্টস বন্ধ। মালিক কোনো নোটিশ ছাড়া এখানে কারখানা বন্ধ করেছেন। তিনি গার্মেন্টস অন্য জায়গায় নিয়ে গেছেন।

‘কারখানা মালিক সরাতেই পারেন, কিন্তু আমাদের পাওয়া পরিশোধ তো করতে হবে। বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করলে যেদিন থেকে কারখানা বন্ধ হয় তার পরের ৩ মাসের বেতন দিতে হয়। আমরা এই বকেয়া চাই।’

শ্রমিকরা বলেন, বাৎসরিক হাজিরা ভাতাসহ অন্যান্য টাকা দিয়ে দিলেই আমাদের আর কোনো দাবি থাকবে না। যারা দক্ষিণখানে নতুন কারখানায় যেতে চান তারা সেখানে যাবেন। অন্যরা নিজের পছন্দে অন্য গার্মেন্টেসে কাজ করবেন।

ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা আরও বলেন, গার্মেন্টস মালিকদের কেউ সহজে শ্রমিকদের দাবি মানতে চান না। সারাদিন বসে থাকলাম, রাত হলো কিন্তু কেউ আসলো না। আমাদের বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচিতে রাতেও কমলাপুর এলাকায় যানজট ছিল। সেখানে বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতিও দেখা যায়।

মতিঝিল ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার এস এম বজলুর রশিদ বলেন, ‘যানজট কমিয়ে রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন দেয়া হচ্ছে। যানজট অন্য এলাকায়ও ছড়িয়েছে। রাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর