বিএনপির সমাবেশগুলো বেশ বড় হচ্ছে জানিয়ে দলটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। দলটির কাছে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর কোনো অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাবে কি না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে রাজপথে সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এবারই নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা বেশি দেখা যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে না গিয়ে বিএনপি এবার বড় বড় জমায়েত করছে। জেলায় জেলায় সমাবেশের পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ চলছে।
এসব সমাবেশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অভিনন্দন জানাই আজকে বিরোধী দল বড় বড় সমাবেশ করছে। বহু লোকের সমাবেশ ঘটাচ্ছে। তারা তাদের অধিকারের কথা বলতেই পারে, এটা স্বাভাবিক।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
১০ ডিসেম্বর থেকে এই সরকার থাকবে না বিএনপির একাধিক নেতার বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন মোজাম্মেল। বলেন, ‘তাদের একটি কথার অর্থ আমি বুঝিনি। বলল ১০ ডিসেম্বরের পর এই সরকার থাকবে না। তাহলে ১১ তারিখে কে রাষ্ট্র চালাবে এটা পরিষ্কার হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ওনাদের (বিএনপি) তো চালানোর কোনো সুযোগ নেই। ওনারা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি না যে আওয়ামী লীগকে বিদায় করে দিয়ে তারা রাষ্ট্র চালাবে। যেহেতু ওনারা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন এবং ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিনিধি হওয়ার কোনো সুযোগও নেই, কাজেই তাদের তো রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই।
'তাহলে কি কোন অদৃশ্য শক্তি রাষ্ট্র চালাবে? ওনারা কি সেটাই চাচ্ছেন কোনো অসংবিধানিক গোষ্ঠী বা শক্তির রাষ্ট্রক্ষমতায় আসুক? সেটা যদি চান তাহলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে বিকল্প কোনো পথ নাই। তাই তাদেরকে জাতির কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য আহ্বান জানাই। যেহেতু ১০ ডিসেম্বর থেকে আওয়ামী লীগকে বিদায় করছেন, তাহলে ১১ ডিসেম্বর থেকে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেটিও পরিষ্কার হওয়া উচিত।
‘আর যদি বলেন কোনো সংবিধান মানি না, কোনো কিছু সাংবিধানিক উপায়ে আসবে না, তাহলে বলতে চাই, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই রাষ্ট্রে একটি অসংবিধানের শক্তি ক্ষমতায় থাকবে, এই অবস্থা যারা সৃষ্টি করতে চায় সেটা নিঃসন্দেহে অন্যায় ও অসাংবিধানিক। তাদের বিচার হওয়া উচিত।’