বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রী ধরছেন চিতল মাছ, মানুষ ছুটছে টিসিবির ট্রাকে: রিজভী

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:২৪

‘গণভবনে চিতল মাছ ধরে সেই মাছ বোনকে দেখাচ্ছেন। সেই ছবি আবার ফেসবুকেও দিচ্ছেন, আর বোঝাচ্ছেন যে দেশের মানুষ ভালো আছে। অথচ দেশের মানুষ টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটছে। তারা দিশেহারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।’

ছুটির দিন গণভবনের লেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঁড়শি হাতে চিতল মাছ ধরার ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইছেন দেশের মানুষ ভালো আছে। অথচ তারা নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা।

মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপি নেতা। ২০-দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির আয়োজনে সেই আলোচনার বিষয় ছিল, ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের বিকল্প নাই।’

বঁড়শি হাতে প্রধানমন্ত্রীর চিতল মাছ শিকারের ছবি ফেসবুকে দেয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি তো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন। সে জন্যই গণভবনে চিতল মাছ ধরে সেই মাছ বোনকে দেখাচ্ছেন। সেই ছবি আবার ফেসবুকেও দিচ্ছেন, আর বোঝাচ্ছেন যে দেশের মানুষ ভালো আছে। অথচ দেশের মানুষ টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটছে। তারা দিশেহারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারের লোকেরা হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। কোনো রিকশাচালক বা কাঠমিস্ত্রি এসব টাকা পাচার করেনি। এসব টাকা পাচার করেছে সরকারের লোকেরা। যারা বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছেন। আসলে এই সরকারের উন্নয়ন হচ্ছে জনগণকে ধাপ্পাবাজি। উন্নয়নে রড ছিল না। যে কারণে সবকিছু এখন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে।’

সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করেন রিজভী। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনার ক্ষমতার মসনদ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে। আজকে সাধারণ মানুষ বিএনপির মিছিলে এসে বুক পেতে বুলেটকে বরণ করছে। সামগ্রিকভাবে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। তারা রাজপথে আছে এবং থাকবে।’

সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের তালিকা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আজকে ১৯৯টি ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর তালিকা করছেন। এটা করছেন হুমকি দেয়ার জন্য। ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে না।’

বিএনপির সমাবেশের সময় পরিবহন ধর্মঘট ডাকার পেছনে সরকারের হাত আছে বলে ফের অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘বিএনপির গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার নিজেই ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু জনস্রোত আটকানো যায়নি। আজকে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, বিএনপির অফিসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষকে ঠেকানো যায়নি। তারা নদী সাঁতরে, পায়ে হেঁটে এবং বাধা পেরিয়ে গণসমাবেশে যোগ দিয়ে সফল করেছেন।’

আলোচনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘পতনের আগে টিকে থাকার জন্য সরকার যেসব চেষ্টা করবে তাদের সেই চেষ্টা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে অতিক্রম করতে হবে। তাহলেই আমরা জয়লাভ করতে পারব।

‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই করছি, সেই লড়াইকে আরও বেগবান করতে হবে। এই লড়াইটা এত সহজ না। ওরা (আওয়ামী লীগ) এত অন্যায় গুম, খুন করেছে, এত বেশি টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে, তার জন্য তাদের ভবিষ্যতে যে বিপদ, সেই বিপদের কথা ভেবেই ভয় পায় তারা। জনগণের ক্রোধকেও ওরা ভয় পায়।’

‘কোনো স্বৈরাচারী সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি’ মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘আইয়ুব খান পারেনি, হিটলার, মুসোলিনি, এরশাদ পারেনি, এই সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল হালিম প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর