সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িটি গণপূর্তের উল্লেখ করে আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, রাউজকের কোনো এখতিয়ার নেই সালাম মুর্শেদীকে এটি দেয়ার।
এর আগে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ির সব কাগজপত্র আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশের পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
একই সঙ্গে বাড়ি দখলমুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘জালিয়াতি করে দখল করে রাখা সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির সব কাগজপত্র এফিডেভিট করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’
পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছে। রুলে বাড়ি দখলমুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, সালাম মুর্শেদীসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী সুমন বলেন, শুনানির সময় আদালত বলেছে, সম্পত্তি তো গণপূর্তের। রাজউক এটা তো কোনোভাবে দিতে পারে না। এটা আমাদের দেখা দরকার।
সুমন বলেন, ‘যে জাল-জালিয়াতির কথা আমরা বলতেছি আদালতের নির্দেশে বাড়িসংক্রান্ত সব কাগজগুলো আসলে কী তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘নিজের বাসার মালিকানা দাবি করে সালাম মুর্শেদী এখন যে বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন, জানতে পারলাম এটা গণপূর্তের বাড়ি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তাকে এ বাড়িটি এমনভাবে দিয়েছে মনে হয়, এ বাড়ির মালিক রাজউক। অথচ রাউজকের ক্ষমতা নাই সালাম মুর্শেদীকে এই বাড়িটি দেয়ার।
রাজউক ও সালাম মুর্শেদীর এই ক্ষমতার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহসও করে না। এ কারণে আমি দুদকে আবেদন করি। দুদক দীর্ঘদিনেও সেই আবেদনের নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।