বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ২১:২০

মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উদয় চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘আমরা এখানে হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বাসবাস করছি। কোনো দিন সাম্প্রদায়িকতা হয়নি। কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বরং মন্দির সংস্কারে গ্রামের মুসলিমরাই সহযোগিতা করছে। হঠাৎ এমন ঘটনায় আমরা বিস্মিত।’

রংপুরের কাউনিয়ার শহীদবাগ বল্লভবিষু গ্রামের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মন্দির কমিটি।

‘বল্লভবিষু কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান ও কালী মন্দির’ নামে ওই মন্দিরের সেবায়েতরা জানিয়েছেন, সেখানে সংস্কার কাজ চলছিল। তারা রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। পরদিন অর্থ্যাৎ সোমবার সকালে গিয়ে দেখেন শিব ও কালি প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার রাতের কোনো এক সময় ঘটেছে এই ঘটনা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসব নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ও পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী।

মন্দিরের সেবায়েত (পরিচর্যাকারী) প্রতিরাম বর্মণ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ও সুশান্ত (আরেক সেবায়েত) দুজনই রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত মন্দিরে ছিলাম। তারপর চলে যাই। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আরেক সেবায়েত হরিশ চন্দ্র বর্মণ আসেন। তিনি দেখতে পান যে মন্দিরের দরজা খোলা।

‘সে আমার কাছে জানতে চায় রাতে মন্দিরের দরজা লাগিয়েছি কিনা। আমি জানাই যে বন্ধ করেছিলাম। এরপর আমাকে আসতে বলে। আমি এসে দেখি দেবী ও শিবের মাথা, হাত-পা ভাঙা, দেবীর মালা ছেড়া, পূজার সামগ্রী এলোমেলো পড়ে আছে। এরপর আমি অন্যদের খবর দেই।’

সেবায়েতরা জানান, এলাকার হিন্দু-মুসলমানরা মিলেই মন্দিরের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। কাজ চলমান বলে মন্দিরের মুল গেটে বাশের বেড়া বানিয়ে গুনা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সুবাস চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আজ ছিল অষ্টহরা (কালি পূজার শেষ উৎসব)। আমরা রাতে অস্টহরা করব। কিন্তু এসে দেখে তো মনটা খারাপ হয়ে গেল। এতদিন যুগের পর যুগ বসবাস করছি, কোনো দিন কিছু হয় নাই।’

মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উদয় চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘এই মন্দির ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন একটি টিনের চালা ছিল। এভাবেই আমরা এখানে পূজা করছি। আমরা এখানে হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বাসবাস করছি। কোনো দিন সাম্প্রদায়িকতা হয়নি। কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বরং মন্দির সংস্কারে গ্রামের মুসলিমরাই সহযোগিতা করছে। হঠাৎ এমন ঘটনায় আমরা বিস্মিত।’

সভাপতি দীলিপ কুমার রায় বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা আহত, ব্যাথিত। প্রশাসন এসেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে অপরাধী শনাক্ত না হলে আমরা আন্দোলনে যাব।’

এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনা যারাই ঘটিয়েছে তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব। ঘটনাস্থলে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর