বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ৮ বছর পর তালিকায় মোবারকের আপিল

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:০১

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেন ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনের খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের তালিকায় এসেছে। আবেদনের আট বছর পর মামলাটি তালিকায় এলো।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তালিকা খুঁজে দেখা যায়, আগামীকাল মঙ্গলবারের তালিকার ৬৭ নম্বরে রয়েছে মামলাটি।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেন ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মোবারককে ফাঁসির রায় দেয়।

তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে এক নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া তিন নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে অন্য তিন অভিযোগে খালাস তাকে দেয়া হয়।

২০১৩ সালের ১৬ মে সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মোবারকের বিরুদ্ধে '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী ৪ ধরনের অপরাধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। একই বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে প্রসিকিউশন।

মোবারকের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ি রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দুজনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন।

এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

মোবারক হোসেনের পরিচয় সম্পর্কে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার নয়াদিল গ্রামের সাদত আলীর ছেলে।

তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মোবারক হোসেন স্বাধীনতার পর জামায়াতের রুকন ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে মোবারক হোসেন তার সাক্ষ্যে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর