বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে চলছে পরিবহন ধমর্ঘট

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৬

সিলেট বিভাগীয় ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ বলেন, ‘পাথর তুলতে না দেয়ায় আমাদের ব্যবসায় একেবারে ধস নেমেছে। শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট ডেকেছি।’

কোয়ারিগুলো থেকে পাথর তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ৪৮ ঘণ্টার এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে সোমবার ভোর ৬টা থেকে।

ধর্মঘটের কারণে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নগরে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি।

সংবাদ সম্মেলন করে গত ১৭ অক্টোবর এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপভ্যান ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে দাবি আদায় না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

এনিয়ে রোববার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে সকাল থেকে শুরু হয় ধর্মঘট। তবে ধর্মঘটের মধ্যেও মহাসড়কগুলোতে কিছু কিছু পণ্যবাহী পরিবহন চলতে দেখা গেছে।

পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে পাথর তোলা প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ। ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক চরম সংকটে পড়েছেন।

সিলেট বিভাগীয় ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ বলেন, ‘পাথর তুলতে না দেয়ায় আমাদের ব্যবসায় একেবারে ধস নেমেছে। শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট ডেকেছি।

‘প্রথমে আমরা জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছি। এরমধ্যে দাবি পূরণ না হলে ৩ নভেম্বর আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করব। এই সমাবেশ থেকে পুরো বিভাগে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘কোয়ারি থেকে পাথর তোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ নভেম্বর এই কমিটির সদস্যরা সিলেটের কোয়ারিগুলো পরিদর্শনে আসবেন। তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখবেন পাথর উত্তোলনের যৌক্তিকতা আছে কি না। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশ খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৪, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২ এবং কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি করে মোট ৮ পাথর কোয়ারি আছে।

২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ ‘পাথর উত্তোলনে সমস্যা নিরসনে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি’ গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ও ২ নভেম্বর ২০২০ তারিখের নির্দেশনা অনুযায়ী সব পাথর কোয়ারি ইজারা বন্ধ আছে।

এ বিভাগের আরো খবর