অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় ৩ আসামির অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
মামলা থেকে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিরন মিয়া ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। তার সেই মামলায় আসামি করা হয় ব্যাংকটির সাবেক ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসাজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকার সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে।
এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেয় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জহুরুল হক।
বিচারিক আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে এই মর্মে যে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না।
এরপর ওই রুলের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রুল অ্যাপসুলেট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেয়।
হাইকোর্টের এ রায়ের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন গোলাম রহমান।