বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭ মাসের শিশু হত্যায় দাদির যাবজ্জীবন

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৩০

আসামি পক্ষের আইনজীবী লুৎফর রশিদ রানা দাবি করেন, রায়ে আসামি ন্যায়বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে গেলে তারা ন্যায়বিচার পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাত মাস বয়সী শিশুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে দাদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এ ছাড়া আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সায়েদুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত ৪০ বছর বয়সী কল্পনা বেগম জেলার ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর বড়কান্দা গ্রামের মেরাজ মিয়ার স্ত্রী।

কিশোরগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আসামির দেয়া জবানবন্দিতে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কল্পনা বেগম।

মামলার বিরবণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই দুপুরে ৭ মাস বয়সী ছেলে নুরুন্নবীকে বাড়িতে ঘুম পাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে যান মা শিল্পী বেগম। গোসল শেষে ঘরে ফিরে দেখেন বিছানায় ছেলে নেই।

পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে আসামিদের বাড়িতে খুঁজতে যান তিনি। গিয়ে দেখেন তারাও বাড়িতে নেই।

নিখোঁজের তিনদিন পর ২৪ জুলাই সকালে প্রতিবেশী আতর মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ পাশে ময়লার স্তূপের ওপর শিশুটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

পরদিন ২৫ জুলাই শিল্পী বেগম জানতে পারেন, চাচি শাশুড়ি কল্পনা বেগম ও তার ছেলে নাহিদ মিয়া শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশে চুরি করেছিল। কিন্তু বিক্রি করতে না পারায় শিশুটিকে হত্যা করে ময়লার স্তূপে ফেলে রাখেন তারা।

পরদিন ২৬ জুলাই ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অভিযোগটি নথিভুক্ত করে। পরে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি শিশুটির মা শিল্পী বেগম বাদী হয়ে কল্পনা বেগম ও তার ছেলে নাহিদ মিয়াকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ আদালতে হত্যা মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি কল্পনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

ভৈরব থানার তখনকার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ জুন কল্পনা বেগমকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার বিকেলে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট লুৎফর রশিদ রানা। তিনি দাবি করেন, রায়ে আসামি ন্যায়বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে গেলে আসামি ন্যায়বিচার পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু সাঈদ ইমাম জানান, এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকর চান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর