বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই সচিবের বাড়ির প্রস্তাব চূড়ান্ত নয়

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২১

এটি একটি প্রাথমিক বিষয়। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেওনি। আর কোনো ধরনের সুইমিং পুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়েশ বাড়িঘর আছে, তাদের জন্য একটি সুইমিং পুল করা যায় কি না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের জন্য বাড়ি নির্মাণের প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়নি এখনও। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছে, যদি বাড়ি নির্মাণ করা হয়, তাতে কোনো সুইমিং পুল থাকছে না। ওই এলাকায় বসবাসকারী সবার জন্য একটি কমন সুইমিং পুল করতে হবে। পুলটি না হলে যে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল, সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বাড়ি নির্মাণের যে প্রস্তাব গণপূর্ত বিভাগ দিয়েছে, সেটিতে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বাড়িতেই দুটি করে সুইমিং পুলের নকশা রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দেশও যখন আর্থিক চাপে, তখন দুইজন কর্মকর্তার জন্য এত ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে এসব নিয়েই প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের।

জবাবে সচিব বলেন, ‘এটি একটি প্রাথমিক বিষয়। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেওনি। আর কোনো ধরনের সুইমিং পুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়ে শ বাড়িঘর আছে, তাদের জন্য একটি সুইমিং পুল করা যায় কি না।’

তিনি বলেন, ‘বাড়িতে বাড়িতে সুইমিং পুল করে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না। ওখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন কোনো সুইমিং পুল নির্মাণ করা যায় কিনা; সেটা বিবেচনার করার কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সেখানে যাদের অ্যালটমেন্ট আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন। কারণ অফিসার্স কোয়ার্টারসে তো বাইরের লোক আসতে পারবেন না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসভবন নির্মাণ করার একটি প্রকল্প গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতিটি ভবন হবে তিন তলা, সাড়ে ১৮ হাজার বর্গফুটের। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ২১ কোটি টাকা করে। এর মধ্যে প্রতিটি বাসভবনে দুই সেট সুইমিং পুল হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা আলোচনায় আসছে তিন-চার বছর আগে। আর তা নির্দিষ্ট করে কারও বাড়ি করার জন্য না। এমনকি ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে যে ছয়টি বড় ভবন আছে, এগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো সেই ১৯৫০ সালের সময়ের বাড়ি। আসলে সবগুলোই আসলে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।

‘গণপূর্ত অধিদপ্তরের বক্তব্য হলো, আস্তে আস্তে মিন্টো রোডের বাড়িগুলো ডিমোলিশড (ভেঙে ফেলার) করে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এগুলো খুবই পুরাতন বাড়ি। এগুলো মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিসচিবের বাড়ির বিষয় না, সব বাড়িগুলো আস্তে আস্তে ভেঙে ফেলা হবে।

‘সংসদ উপনেতার বাড়ি এরই মধ্যে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ, এগুলো সেই ১৯৪০, ১৯৪৫ সালের বাড়ি। বাড়িগুলো একটা একটা করে সব নতুন করে তৈরি করা হবে। এটা নতুন বাড়ি করা বলার চেয়ে প্রধানত সেই জায়গাটায় জোর দেয়া উচিত ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর