জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা না করা হলে সংসদে যাবে না জাতীয় পার্টির- সংসদীয় দলের এমন সিদ্ধান্ত ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পাল্টে গেছে।
সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছে।
এতে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদের স্পিকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যবৃন্দ। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের আজ এক নির্দেশনায় জাতীয় পার্টির সকল সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা আর জাতীয় সংসদে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
দলীয় ওই সিদ্ধান্ত দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি সংসদে যোগ দেবে না বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
জাতীয় পার্টিতে বিভক্তি শুরু হয় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের কাউন্সিল ডাকার মধ্যে দিয়ে। যা তিনি ডাক দেন এর পরের দিন। রওশন এরশাদ গত ৩১ আগস্ট অাগামী ২৬ নভেম্বর দলের কাউন্সিলের ডাক দেন।
এর পরের দিন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে অপসারণ করতে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকেন জি এম কাদের। রওশনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বরাবর চিঠি দেন জাতীয় পার্টির অধিকাংশ সংসদ সদস্য।
সেই চিঠির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি স্পিকার। এ কারণে পরে আবার দলীয় সভাপতিমণ্ডলীর সভা ডেকে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর সমর্থন নেন জি এম কাদের।