বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিছিল-সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:০৬

ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, ‘এখন যদি কেউ রাজনীতির নাম নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে, গাড়িতে আগুন দেয়, রাস্তার গাছ কেটে অবরোধ করে, তখন ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফৌজদারি অপরাধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা করব।’

মিছিল, সমাবেশের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফৌজদারি অপরাধ না হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

রাজধানীর মিন্টো রোডে সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কমিশনস মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশ্বাস দেন।

বিএনপির অভিযোগ, তাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলেও আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না। সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন সামনে আনার সঙ্গে সঙ্গে ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, ‘এখন যদি কেউ রাজনীতির নাম নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে, গাড়িতে আগুন দেয়, রাস্তার গাছ কেটে অবরোধ করে, তখন ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে।

‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফৌজদারি অপরাধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা করব, কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ করলে আমরা কঠোর হস্তে সে ফৌজদারি অপরাধ দমন করব, নিয়ন্ত্রণ করব, প্রিভেনশন করব।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কাজ তাদের রাজনীতি করা। তারা রাজনীতি করবে। এখানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নাই।

‘এ বিষয়ে আমাদের নাক গলানো বা মাথাব্যথা আমাদের নাই। আমাদের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ নিয়ে। ব্রিটিশ আমল থেকেই আইনগুলো এভাবে করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেউ রাজনৈতিক মিছিল করবে, কেউ মিটিং করবে। এটা তার রাজনৈতিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধান যে সমস্ত ওপেন রাজনৈতিক দল আছে, তারা ওপেন রাজনীতি করছে।

‘শুধু নিষিদ্ধ ৬টা রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে বাকি দলগুলো রাজনীতি করতেছে। এখানে কোনো রকমে রাজনীতি নিয়ে আমাদের বক্তব্য নাই।’

রাজধানীতে মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মাদক নির্মূল করা একটা চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তানের মতো একটা ইসলামিক দেশে পপি চাষ হয়। তারা সবকিছুই করছে কিন্তু পপি চাষ বন্ধ করছে না। মাদকের মতো ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আসলে গণমাধ্যমসহ সবারই সহযোগিতা দরকার। কয়েক বছর ধরে আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি।’

মাদকের ব্যাপারে দুই ধরনের কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে যারা মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছি। আমরা তাদের ডোপ টেস্ট করছি। মাদক না পেলেও ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রসিকিউশন দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘মাদকসেবনে চাকরি হারাচ্ছে পুলিশ সদস্যরাও। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে আমরা পুলিশের মধ্যেও ডোপ টেস্ট করছি। যারা পজিটিভ হচ্ছেন তাদের আমরা চাকরিচ্যুত করছি। মাদক বন্ধে শুধু সাপ্লাই লাইন বন্ধ করলেই হবে না। ডিমান্ড লাইন বন্ধ করতে হবে। যদি মাদকের ডিমান্ড ও মাদকসেবী থাকে তাহলে যত কড়াকড়িই করা হোক না কেন সাপ্লাই আসবেই। সুতরাং আমাদের আগে মাদকের ডিমান্ড বন্ধ করতে হবে।

‘মাদকসেবীদের তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডিমান্ড কমলে মাদক ব্যবসায়ীরা এমনিতেই মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেবে। আমাদের মাদকসেবীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সেবার মান ও চিকিৎসা কেন্দ্র বাড়াতে হবে।’

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাধারণ সূত্র চারটি; ইনফোর্সমেন্ট, এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভাইরনমেন্ট। কিন্তু একটা ক্ষেত্রে বড় সমস্যা দেখা দেয়, সেটা হলো ইঞ্জিনিয়ারিং। ঢাকা গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করব আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানীতে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। যে কারণে ট্রাফিক চাপ রয়েছে। যা আরও কিছু দিন থাকবে।’

রাজধানীতে অবৈধভাবে পার্কিং, অবৈধ ইন্টার ডিস্ট্রিক বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্য অবৈধ পার্কিং ও বাস টার্মিনাল গড়ে তুললে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রাইভেটকারসহ ছোট যানবাহন রাখা নিয়েই মূলত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অফিসিয়ালি পার্কিং জোন করতে আমরা চেষ্টা করছি। যদি করে দিতে পারি তাহলে ছোট যানবাহন রাখার সুবিধা হবে।’

জঙ্গিবাদ খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘অনেক দেশে উন্নত পুলিশিং ব্যবস্থা থাকার পরও জঙ্গিবাদ দমনে সফল হতে পারছে না। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সফল। জঙ্গিবাদ আর আগের মতো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। যদিও জঙ্গিবাদের চর্চা বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘জনগণ ও পুলিশি অ্যাকশনের কারণে জঙ্গিবাদ কখনও কখনও শান্ত হয়ে যায়। আবার কিছুদিন পর জঙ্গিবাদ চর্চা শুরু হয়। আমাদের সাইবার ওয়ার্ল্ডে মনিটরিং চলছে।’

‘কোনো জঙ্গি নিজের বাসায় থাকেন না। তারা ভাড়া বাসায় থাকেন। সেজন্য আমরা ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ করছি। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ, পুলিশ ও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ বন্ধ করা সম্ভব।’

এ বিভাগের আরো খবর