কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসাকে আফ্রিকা ও এশিয়ায় বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
এ ধরনের তৎপরতা রুখে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য হিলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় শনিবার দেয়া বক্তব্যে জাতিসংঘ ও তুরস্কের সঙ্গে ইউক্রেন ও রাশিয়ার চুক্তি ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ থেকে রুশদের সরে আসাটা প্রত্যাশিত ছিল বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
তার ভাষ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শস্যবাহী ইউক্রেনের জাহাজ আটকে দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্যসংকটকে ত্বরান্বিত করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার বাধায় সেপ্টেম্বর থেকে ১৭৬টি জাহাজ সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আক্ষরিক অর্থে ২০ লাখের বেশি টন খাদ্য সমুদ্রে রয়েছে। এর মানে হলো ৭০ লাখের বেশি ভোক্তার খাদ্য পাওয়ার সুযোগ আরও কমেছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসায় আলজেরিয়া, মিসর, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের মতো অনেক দেশের পরিস্থিতি সমভাবে অস্থিতিশীল হবে।
বাংলাদেশ প্রতি বছর ৬০ লাখ টন গম আমদানি করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। এসব গম আসে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে।
জেলেনস্কির দাবি, চুক্তি থেকে সরে আসার আগে রাশিয়া অন্তত দুইবার ইউক্রেনের নৌবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। শনিবার সকালে রুশ বাহিনীর হামলার শিকার হয় ইউক্রেন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ।