বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্য নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আমনের দারুণ ফলন

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:৪০

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ দশমিক ১৩ টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হলেও পাওয়া গেছে ৩ দশমিক ২৭ টন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে জেলাতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবার আমনের উৎপাদন।’

বিশ্বজুড়ে খাদ্য দিয়ে যে শঙ্কার কথা বলাবলি হচ্ছে, তার মধ্যে আমন মৌসুমে দারুণ ফলনের আভাস দিচ্ছে স্বস্তির ইঙ্গিত।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম জাতের আমন ধানে যে ফলন হয়েছে, তা লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবার সেচসহ নানা কারণে উৎপাদন খরচ বেশি পড়লেও কৃষক যে দাম পাচ্ছেন, তাতে মুনাফা হচ্ছে।

এ বছর জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৬ হাজার ৭৬০ হেক্টর। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ দশমিক ১৩ টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হলেও পাওয়া গেছে ৩ দশমিক ২৭ টন।

জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে আমনের ফসলি মাঠে ধান কাটার কাজ করছেন কিষাণ-কিষাণীরা৷ কেউ করছেন মাড়াই। পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাজ করতে দেখা গেছে নারীদেরও। মাড়াই-কাটাইয়ে উঠান ভরে থাকছে আমনের ঘ্রাণে।

কৃষি অফিস বলছে, আমন ধান থেকে এবার ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ টন চাল পাওয়ার আশা করছেন তারা।

কৃষকেরা বলছেন, চাষ, সেচ, সার, কীটনাশক সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বিঘাতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ বেড়েছে আমন চাষে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা৷

বর্তমানে দুই মণ বস্তা ধান বিক্রি করছেন ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকা।

সদর উপজেলার রহিমানপুর এলাকার কৃষক মোহম্মদ নুরুল্লাহ্ বলেন, ‘প্রতি বিঘাতে ধান পাব ১৮ থেকে ২০ মণ। আমার প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ প্রায় এক হাজার টাকা।’

চিলারং এলাকার কৃষক হাসেম আলী বলেন, ‘এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় সেচ দিতে হয়েছে। ধানে কিছু পোকাও এসেছিল। তাই কীটনাশকে বাড়তি টাকা লেগেছে৷ আগাম ধানের দাম আরেকটু বাড়তি হলে স্বস্তি পেতাম আমরা।’

সদর উপজেলার আকচা মুন্সীপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক আতাউর রহমানের প্রতি বিঘাতে উৎপাদন খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে ১৩ হাজার টাকা৷

এক বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের উঠানে তুলে দিতে দূরত্বভেদে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা নেন শ্রমিকেরা। বিঘাপ্রতি ধান মাড়াইয়ে নেন আরও দুই হাজার টাকা।

শ্রমিক রুস্তম আলী বলেন, ‘যে এলাকায় শ্রমিক যত বেশি সে এলাকায় মজুরি তত শাশ্রয়।’

সদর উপজেলার ধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর কৃষক ধানের দাম বেশি পাচ্ছে। আমনের মোটা ধান আমরা কিনছি ১ হাজার ১০০ টাকা মণ, আর চিকন ধান কিনছি ১ হাজার ২০০ টাকা মণ। বর্তমানে ধানের বাজার অনুযায়ী কৃষকেরা গত বছরের চেয়ে ভালো দাম পাচ্ছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে জেলাতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবার আমনের উৎপাদন।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর জেলাতে মোট চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। উৎপাদন ও দাম দুটোই ভালো পাবে কৃষক।’

এ বিভাগের আরো খবর