বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০০ কোটি টাকা সরিয়েছে উল্কা গেমস: র‌্যাব

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:২৪

র‌্যাব বলছে, উল্কা গেমসের যাত্রা গেমিং উন্নয়নের উদ্দেশে হলেও তারা মূলত অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাঠানোর কাজ করছিল।

গেইমিং ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের নামে ভুল তথ্য দিয়ে আইনি বৈধতা নেয়া উল্কা গেমস লিমিটেড দেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

মহাখালী ও উত্তরা থেকে এই চক্রের মূল হোতা উল্কা গেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জামিলুর রশিদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যের বরাতে র‌্যাব মুখপাত্র আরও জানান, পার্শ্ববর্তী দেশের মুনফ্রগ ল্যাবের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশের কোটি কোটি টাকা সরিয়েছে উল্কা গেমস।

গেমিং উন্নয়নের উদ্দেশে শুরু হলেও উল্কা গেমস তা না করে তিন পাত্তি গোল্ডসহ বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা সরায় বলে জানান তিনি।

এর আগে রোববার রাতে জামিলুর রশিদ ছাড়া গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন সায়মন হোসেন, রিদোয়ান আহমেদ, রাকিবুল আলম, মুনতাকিম আহমেদ ও কায়েস উদ্দিন আহম্মেদ। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, সিপিইউ, সার্ভার স্টেশন, হার্ড ডিস্ক, স্ক্যানার, ডিভিডি ড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নগদ টাকাসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানয়, উল্কা গেমসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জামিলুর রশিদের সঙ্গে ২০১৭ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি প্রতিষ্ঠান মুনফ্রগ ল্যাবের পরিচয় হয়। ২০১৮ সালে তিনি মুনফ্রগ ল্যাবের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে দেড় লাখের বেশি টাকা বেতনে নিযুক্ত হন।

মুনফ্রগ ল্যাবের অনলাইন জুয়া অ্যাপ ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় গেমটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে দেশে বৈধতা নিতে আইনজীবীদের পরামর্শে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে জামিরুল রশিদ ‘উল্কা গেমস প্রা. লি.’ নামে একটি গেমিং ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেন।

পরে ২০১৯ সালে মুনফ্রগের শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ উল্কা গেমসকে দেয়ার মাধ্যমে দেশে গেমিং খাতে উন্নয়নের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়। দেশে গেইমিং খাতে উন্নয়নের অনুমোদন থাকলেও অনলাইন জুয়া বা ক্যাসিনোর অনুমোদন না থাকায় উল্কা গেমস বিভিন্ন ভুল তথ্য উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আইনি বৈধতা নেয়ার ব্যবস্থা করে।

র‌্যাব বলছে, এভাবেই ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ যাত্রা শুরু করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উল্কা গেমসের যাত্রা গেমিং উন্নয়নের উদ্দেশে হলেও তারা মূলত অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাঠানোর কাজ করছিল।

এ বিভাগের আরো খবর