বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাতিমের সুবাসে মাতোয়ারা পথচারী

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৫৫

গোপালগঞ্জ শহরের প্রেস ক্লাবের পেছনে ছাতিম গাছে ফুল ধরেছে। হালকা বাতাসে ভেসে আসে ছাতিমের ঘ্রাণ। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতের পুরো সময়টায় এ ঘ্রাণ ছড়ায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা যেন হয়ে পড়ে মাদকতাময়।

এখন ছাতিম ফুলের সময়। বাতাসে ছাতিমের মৌ মৌ সুবাস। প্রকৃতিতে বয়ে বেড়ানো হালকা বাতাসের সঙ্গে থেকে থেকে ভেসে আসে ছাতিম ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। সেই ফুলের সুবাসে মুগ্ধ পথচারী। গাছভরা ছাতিম ফুল দেখে চোখ জুড়ায় পথচারীদের। তবে এমন ফুলের তীব্র সুঘ্রাণ শহরের খুব কম এলাকাতেই দেখা যায়।

গোপালগঞ্জ শহরের প্রেস ক্লাবের পেছনে ছাতিম গাছে ফুল ধরেছে। হালকা বাতাসে ভেসে আসে ছাতিমের ঘ্রাণ। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতের পুরো সময়টায় এ ঘ্রাণ ছড়ায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা যেন হয়ে পড়ে মাদকতাময়।

এ সুবাসে মুগ্ধ হয় পথচারী। সাদা সাদা ফুলে ঢেকে থাকে পুরো গাছ। গাছের দিকে তাকালে দেখা যায়, সারা গাছ ছেয়ে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা ফুল।

গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান শুকলাল বিশ্বাস জানান, শুধু ফুলের সুবাসই নয়, ছাতিম গাছ দেখতেও সুন্দর। এর ওপরের দিকটা ছাতার মতো ছড়ানো। ছাতিম গাছ প্রায় ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। একাধিক শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গাছটির ছাল অসমতল ও ধূসর। এর পাতার ওপরের দিক চকচকে আর তলার দিক ধূসর। ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা পাতা হয়। একই মূলাবর্তে চার থেকে সাতটি পর্যন্ত পাতা থাকে।

বছরের এ সময়টায় সারা গাছ ভরে গুচ্ছবদ্ধ, তীব্রগন্ধি, সবুজ-সাদা ছোট ছোট ফুল ফোটে। এ গাছের সংস্কৃত নাম সপ্তপর্ণী। অঞ্চলভেদে একে ছাতিয়ান, ছাইত্যানসহ নানা নামে ডাকা হয়। ইংরেজিতে একে ডাকা হয় ‘ডেভিলস ট্রি’ নামে। বৈজ্ঞানিক নাম এলস্টোনিয়া স্কলারিস।

শহরের মডেল স্কুল রোডের তুষার কান্তি বিশ্বাস ও সলিল বিশ্বাস জানান, এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এ গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না ছাতিম গাছ। দূর থেকে ভেসে আসা সুঘ্রাণ শুঁকে গাছটিকে খুঁজে নিতে হয়। নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা বা বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে অন্যান্য গাছের সঙ্গে উজাড় হতে হতে এখন এ ছাতিম গাছের দেখা মেলে না বললেই চলে।

শহরের পাচুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন, একরামুল কবির জানান, সারা বছর এই গাছের কথা মনে না থাকলেও এ সময়টা ছাতিম ফুল নিজেই তার সুগন্ধে অস্তিত্ব জানান দেয়। বড় বড় গাছ সাদা ফুলে ঢেকে যায়। প্রেস ক্লাবের পেছনেই একটি ছাতিম গাছ আছে। সেখানে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামতেই আশপাশের এলাকা সুবাসিত হতে শুরু হয়। একেবারে মন মাতানো ঘ্রাণ। ভালো লাগে এই সময়টায় ছাতিম ফুলের সুগন্ধ। শহরে দু-একটি গাছ এখনও আছে।

প্রাকৃতিক সুগন্ধি এ গাছটি যাতে আশপাশ এলাকা থেকে বিলীন হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে সবাই সচেষ্ট হবে, এমন প্রত্যাশা সবার।

এ বিভাগের আরো খবর