গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডারভর্তি কাভার্ড ভ্যানে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের দিন ১৩ অক্টোবর রাতেই পাঁচজনকে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১১টায় বিস্ফোরণে দগ্ধ পঞ্চম জনের মৃত্যু হয়। ২৭ বছর বয়সী আনোয়ারুল ইসলাম নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর থেকে পাঁচজন দগ্ধ পেশেন্ট আমার এখানে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৭ বছর বয়সী আনোয়ারুল ইসলাম নামের আরও এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান। তার শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনই মারা গেলেন।’
বিস্ফোরণের তিন দিন পর ১৭ অক্টোবর দগ্ধ দ্বিতীয় জনের মৃত্যু হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় ৩৩ বছর বয়সী মো. পারভেজের মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণের পর দিন শুক্রবার সকালে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ২৬ বছর বয়সী মিঠু মিয়ার মৃত্যু হয়। তার শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুরের গাছা থানাধীন বড়বাড়ী এলাকার ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়, যাতে কাভার্ড ভ্যানে থাকা পাঁচজন গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয়দের সহায়তায় রাতে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ দেবনাথ জানান, দগ্ধদের মধ্যে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মৃত্যু হয় মিঠু মিয়ার। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসাধীন অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, জীবিত দগ্ধদের মধ্যে ২৭ বছর বয়সী আনোয়ার ইসলামের শরীরের ৩৫ শতাংশ, ২৫ বছরের আল আমিনের ৫০ শতাংশ এবং সমবয়সী সিরাজুল ইসলাম টুটুলের ৮০ শতাংশ পুড়েছে।
দগ্ধ আল-আমীন বলেন, ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানাধীন বড়বাড়ী এলাকার ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় সিলিন্ডারভর্তি কাভার্ড ভ্যানটি গ্যাস নিতে ফিলিং স্টেশনে গেলে বিকট শব্দে একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে মুহূর্তেই কাভার্ড ভ্যানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানে থাকা পাঁচজন গুরুতর দগ্ধ হই।’
‘পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আমাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।’
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আমাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের (ইমার্জেন্সি) কর্তব্য চিকিৎসক ডাক্তার শুভ দেবনাথ বলেছিলেন, গাজীপুর থেকে পাঁচজন দগ্ধ পেশেন্ট আমার এখানে এসেছে, তাদের সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।