বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটনের বিকাশে থাইল্যান্ডের সহায়তা চাইলেন মোমেন

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ২১:২৩

মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ডের আরও সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে থাইল্যান্ডের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

ঢাকা সফররত থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুওয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে রোববার এই সহায়তা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, এটাই বাংলাদশের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য। আমরা সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংযোগ সুবিধার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি সম্ভব।

‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অর্থনীতির মধ্যে বিদ্যমান পরিপূরকতাকে কাজে লাগাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। অপার সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য থাই সহায়তা ও দক্ষতা ব্যবহার প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে থাইল্যান্ড।’

মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ডের আরও সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন আগামী মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আইওআরএ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।

সারুন চারোয়েনসুওয়ান বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপক উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে যৌথ কমিশন সভা করার বিষয়েও তিনি জোর দেন।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করতে একটি এফটিএ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন সারুন।

দুই দেশই বিপুল উত্সাহে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে বলে জানান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর