দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে চিলিকলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সচিবালয়ে রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশের কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সুগার মিলের অনেক পতিত জমি আছে। সেগুলোকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমি কোথায় কোথায় পতিত পড়ে আছে তা খুঁজে বের করে সেসব জমিতেও খাদ্যশস্য ফলাতে হবে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে যেকোনো মূল্যে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যেটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই। সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে আরও তৎপর ও সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে উৎপাদন আরও বাড়ানো যায় তা খুঁজে বের করতে হবে।’
এ সময় চিনিকল ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রয়েছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।