সিএস বা আরএস রেকর্ড অনুসারে ঝালকাঠি জেলায় বহমান ঐতিহ্যবাহী ধানসিঁড়ি নদীর সীমানা জরিপ করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এই নদীর মূল প্রস্থ কমিয়ে খননকাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদেশের পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেছে। রুলে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে চলমান সব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে আগের অবস্থা অনুসারে নদী খনন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ধানসিঁড়ি নদীর দখল নিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৫ অক্টোবর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দিয়েছেন এবং রুল জারি করেছেন।’
নদীটি সম্পর্কে বলা হয়, ১৯১০ সালের সিএস নকশা অনুযায়ী ৩৬০ দাগে রাজাপুরের বাঘরী অংশে এই নদীর মোহনার প্রশস্ততা ছিল ৫৬৭ ফুট। তখন এই নদীতে বড় বড় জাহাজ চলত। এই ধানসিঁড়ি নদীর মোহনায় তখন ছিল দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় বন্দর।
বন্দরে কলকাতা থেকে সরাসরি জাহাজ এসে ভিড়ত। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ১৯৫০ সালে পাকিস্তান সরকারের জরিপে এক নম্বর দাগে ধানসিঁড়ি নদীর মোহনার প্রশস্ততা পাওয়া যায় ২০০ ফুট। এই জরিপের নকশা ২০২২ সালে এখনও চলমান। অথচ ২০০ ফুট প্রশস্ত এই নদীর বর্তমানে অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।