বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একটি দল নিবন্ধন পেলে সেটি হবে গণ অধিকার পরিষদ: নুর

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:০১

দলের প্রতীক হিসেবে নোঙ্গর, রকেট, তরমুজ, আপেলের মধ্যে যেকোনো একটি চেয়েছে দলটি। সেগুলো না পেলে দোয়াত-কলম প্রতীক সংযোজন চেয়ে সেটি বরাদ্দের দাবি করেছে তারা।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। ভবিষ্যতে ‘নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

নুর এ-ও বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে কে আছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারে কে থাকছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গণ অধিকার পরিষদের নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুর।

দলের প্রতীক হিসেবে নোঙ্গর, রকেট, তরমুজ, আপেলের মধ্যে যেকোনো একটি চেয়েছে দলটি। সেগুলো না পেলে দোয়াত-কলম প্রতীক সংযোজন চেয়ে সেটি বরাদ্দের দাবি করেছে তারা।

নিবন্ধনের তিনটি শর্তই পূরণ হওয়ার দাবি করে তিনি বলেন, ‘একটি দলও নিবন্ধন পেলে সেটা হবে অধিকার পরিষদ।’

নুর বলেন, '২০২১ সালে ২৬ অক্টোবর গণ অধিকার পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৮ সালের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তরুণদের সম্পৃ্ক্ত করে এই দলের সূত্রপাত। আমাদের ছয়টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এ ছাড়া জেলা, উপজেলায় যতগুলো কমিটি দরকার তা-ও আমাদের আছে।’

এক প্রশ্নে নুর বলেন, ‘আমরা মনে করি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিনা ভোটের এবং ভোট ডাকাতির নির্বাচন এই দেশে ভবিষ্যতে আর হবে না। ভবিষ্যতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে অবশ্যই আমরা নিবন্ধন পাব।

‘আর যদি নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করা হয়, সেটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্যই তারুণ্যের উত্থান এবং এই রাজনৈতিক দলের জন্ম। কাজেই প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই আমাদের সেই অধিকার অর্জন করব।’

গণ অধিকার পরিষদ কোনো জোটে যাবে কি না, প্রশ্ন করলে জবাব আসে, ‘এখন পর্যন্ত জোটের বিষয় নিয়ে ভাবছি না। রাজনীতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংকট রয়েছে, নেতৃত্বের একটা আস্থাহীনতা রয়েছে। যে কারণে আজকে নতুন নতুন দলের উত্থান হচ্ছে। কিন্তু এই বর্তমান সরকারকে হটিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরাপর বিরোধী দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করব, রাজপথে থাকব। কিন্তু নির্বাচনীকালীন বিষয় নিয়ে আমরা হয়তো দলের একক সিদ্ধান্তে থাকবে।’

নুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি যে আস্থার সংকট রয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোট নিয়ে জনমনে যে একটা সংকট রয়েছে, সেই সংকট উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। নতুন আবেদনকারী দলগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন দিয়ে ভবিষ্যতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তারা এগিয়ে যাবে।’

নিবন্ধন পেলে এই সরকার ও কমিশনের অধীনে নির্বাচনে আসবেন কি না, এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি বলেন, ‘প্রথমত আমাদের কাছে আসলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ে নির্বাচনকালীন সরকারটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনের জনগণ ভোট দিতে পারে নাই।। ভোটকেন্দ্রে কুত্তা, বিলাই, ছাগল দৌড়াদৌড়ি করেছে। কাজেই এই কুত্তা, বিলাই, ছাগল দৌড়াদৌড়ি করবে; এই রকম ভোটকেন্দ্র এবং ভোটের পরিবেশ আমরা চাই না।

‘জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিতে পারে সেই ধরনের একটা উৎসবমুখর ভোট এবং নির্বাচনের পরিবেশ আমরা চাই। তার জন্য অবশ্যই আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছি। এবং বিরোধী দলগুলো কিন্তু ইতিমধ্যে সেই দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলছে।’

দলীয় সরকারের অধীনে তার দল নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন যেটা আমরা বলেছি, তাদের নিয়ে আমাদের খুব একটা কনসার্ন নাই। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েই হচ্ছে আমাদের প্রধান বিষয়।’

এ বিভাগের আরো খবর