বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিল: যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন প্রার্থীরা

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২৯

আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল চলছে। বেলা ২টা থেকে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি থাকলেও সকাল থেকেই বিভিন্ন থানা ও উপজেলা থেকে কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন।

জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাপোপা মাঠে আয়োজিত এই কাউন্সিল ঘিরে জেলা বিএনপির পদপ্রত্যাশীরাও দৌড়ঝাঁপ করছেন। তবে এই কাউন্সিলে জেলা বিএনপির সাবেক ও বর্তমান কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনের অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হচ্ছে না। নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব জেলার ১ হাজার ১০ জন কাউন্সিলর লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করেছেন। তিনি সবার সঙ্গে কথা বলে এবং তৃণমূল পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্ব আনবেন বলে জানা গেছে।

সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুকে সভাপতি ও খন্দকার আবু আশফাককে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৯ সদস্যের ঢাকা জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। মেয়াদ শেষের এক বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ এই কমিটিকে ২৬৬ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ করা হয়।

পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলার ১০টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি গঠন করেন দায়িত্বশীল নেতারা। এসব কমিটি গঠনে নানা অভিযোগ থাকলেও দীর্ঘ ২৫ বছর পর নতুন কমিটি গঠন করায় সন্তুষ্ট তৃণমূল বিএনপি। এবার রাগ-অভিমান ভুলে সব পক্ষ কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বলে নেতারা জানান।

ঢাকা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদ পেতে লবিং করছেন বর্তমান সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তমিজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল কবির পল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, খোরশেদ আলম, নাজিম উদ্দিন (ভিপি নাজিম)। এর বাইরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।

এসব পার্থীরা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক জীবনে তাদের ত্যাগ-শ্রম আর সাংগঠনিক তৎপরতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন।

রেজাউল কবির পলের সমর্থক নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলররা জানান, ছাত্রদলের একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন রেজাউল কবির পল। ১৯৯০ সালে ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ থেকে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পরে এই কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পর্যায়ক্রমে তিনি কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হন।

পরে ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রেজাউল কবির পল জানান, দল যখন যেখানে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে তখন সেখানে সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, সামনেও করবেন। ঢাকা জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর জন্য আরও শক্তিশালী করতে তাকে যে দায়িত্বই দেয়া হোক তিনি তা পালন করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর তিনি আস্থা রেখে রাজনীতি করেন। তাই তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি সব সময়ই মেনে নেবেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, তিনি ছাত্ররাজনীতি থেকে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেখান থেকে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাভার পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। দলের হাইকমান্ড তাকে যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে তিনি কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর