বন্ধঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর।
এখন কমিশন বৈঠকে প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে রোববার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা জানান।
মো. আলমগীর বলেন, ‘গাইবান্ধার তদন্ত প্রতিবেদন আজকে সিইসির কাছে দিয়েছেন ইসি সচিব। সেটা আমরা এখনও দেখিনি। সবাই বসে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
‘রিপোর্ট পড়ার পরই বিস্তারিত বুঝতে পারব। আমরা তো তদন্তের সময় ছিলাম না। তাই এটা নিয়ে সভা করার পর আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।’
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচনের ভোট বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে আরও দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে গত ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর। এরপর কমিটি ইসি সচিবের কাছে গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয়।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।