সাসটেইনেবল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকা তুলে ধরতে পারে গণমাধ্যম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সঠিক এবং নির্ভুল প্রতিবেদন ধর্মীয় বিশ্বাস ও উন্নয়নের সংযোগস্থলে ভূমিকা রাখতে পারে।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওয়াইডব্লিউসিএ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এক কর্মশালায় এ অভিমত জানান বক্তারা।
সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) ও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ফেইথস ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগের সহযোগিতায় ‘এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকার বস্তুনিষ্ঠ কাভারেজ’ বিষয়ে কর্মশালাটি হয়।
কর্মশালায় দ্বন্দ্ব-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের অনুশীলনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি আলোকপাত করা হয়।
কর্মশালায় সি-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল মাহমুদ বলেন, ‘মিডিয়া টেকসই উন্নয়ন ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে গঠনমূলক প্রতিবেদন করতে পারে।’
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ তথ্য কভার করে দ্বন্দ্বের লুপ ভেঙে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেনেডিক্ট অ্যালো ডি রোজারিও বলেন, ‘বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা মানুষের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সবচেয়ে কার্যকর সহায়ক হতে পারেন। আর এটি তুলে আনতে পারে গণমাধ্যম।’