বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নারীর আত্মহত্যাচেষ্টা, বাঁচালেন মাঝি

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৩৯

ওই নারীর স্বজনদের দাবি, তার স্বামী প্রবাসে থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সেই থেকে প্রথম স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ দেয়া বন্ধ করে দেন স্বামী। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সেতু থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী। তবে নদীতে থাকা মাঝিরা তাকে উদ্ধার করে তীরে নিলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।

তার স্বজনদের দাবি, তার স্বামী প্রবাসে থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সেই থেকে প্রথম স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ দেয়া বন্ধ করেন দেন স্বামী। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী।

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেছেন, খোঁজ নিয়ে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেবেন।

আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তারেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নদীর তীর ধরে হাঁটতেছিলাম। এমন সময় একজন নারী সেতুর মাঝখান থেকে নদীতে লাফ দেয়। তখন নদীতে থাকা মাঝিরা তাকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় তীরে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর তার বোন আর বোনজামাই এসে তাকে বাড়ি নিয়ে গেছেন।’

ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকেন বলে জানান আত্মহত্যা চেষ্টাকারীর বোন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘১৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের সন্তানরাও মোটামুটি বড় হয়েছে। কিন্তু চার বছর আগে আমার বোনের স্বামী আরব আমিরাতে বাংলাদেশের এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমার বোনের ভরণপোষণ বন্ধ করে দিয়েছে সে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তখন থেকে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। কয়েকবার মেরে বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছে। এমনকি বৈদ্যুতিক শকও দিয়েছে তাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তারপর সে কালুরঘাটে একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়। কিন্তু এর মধ্যে একটা দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় তার। পায়ে ব্যথা পাওয়ায় সে অফিসে না গিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিল। আগেও বিভিন্ন সময় আমি রেখেছিলাম তাকে।

‘বাড়িতে এসে আমাকে পায়নি। আমি হাসপাতালে ছিলাম, বাসা তালা ছিল। আমাকে না পেয়ে সে শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। সেখানে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেছে, যেন যেখানে চোখ যায় সেখানে চলে যায়, অথবা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মরে যায়। তাই রাগে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সঞ্চয় সেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তবে জ্ঞান ফেরার পর হাসপাতালে না নিয়ে বোনের বাড়িতে নিয়ে গেছে স্বজনরা।’

নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে ওই নারীর শ্বশুর বাড়ির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সরোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি নির্যাতনের বিষয়টি সত্য না। আর তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি।’

এ বিষয়ে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানতাম না। যদি এ রকম কোনো নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তাহলে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।’

এ বিভাগের আরো খবর