খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগে দুদকের করা আবেদন নিষ্পতির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে।
এ সপ্তাহের মধ্যেই শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দুদকে একটা আবেদন করি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে নিজের মালিকানা দাবি করে তিনি এখন যে বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন এটা গণপূর্তের বাড়ি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তাকে এ বাড়িটি এমনভাবে দিয়েছে মনে হয়, এ বাড়ির মালিক রাজউক। অথচ রাউজকের এই ক্ষমতা নেই সালাম মুর্শেদীকে এই বাড়ি দেয়ার। 'রাজউক ও সালাম মুর্শেদী এত ক্ষমতা এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহসও করে না।’
আইনজীবী সুমন অভিযোগ করেন, ‘যেহেতু কেউ কথা বলে না এ জন্য আমরা দু-একজন দাঁড়িয়েছি। আমার কথা হলো একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ। অথচ তিনি এত নীতির কথা বলেন। গণপূর্তের জায়গা দখল করে রেখেছেন। তারা এখন হাজার কোটি টাকার মালিক।’
আইনজীবী সুমন বলেন, ‘এ বিষয়ে দুদকে আবেদন করেছিলাম, দুই মাস হয়ে গেছে অথচ এখনও আমার আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হয়নি। দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছি।’
ব্যারিস্টার সুমনের আবেদনে বলা হয়, ‘সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়িটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। ওই বাড়ি সালাম মুর্শেদী দখল করে বাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জানতে চাইলেও কোনো জবাব দেয়া হয়নি। এ ছাড়া ওই জমির নামজারি ও দলিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজউকে আবারও চিঠি দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এখনও যার জবাব মেলেনি।’
তাই বিষয়টি অনুসন্ধান করে আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন তিনি।