সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নামে মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। শুনানি শেষে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।
এদিন নাজমুল হুদা চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এ ছাড়া মামলাটি চলার বৈধতা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
গত ৬ এপ্রিল নাজমুল হুদার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগ শুনানির তারিখ ঠিক করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৯-এ বদলির আদেশ দেন তিনি।
গত অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার নামে একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এস কে সিনহা।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দেড় বছর তদন্ত করে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। পরে দুদকের পক্ষ থেকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়।