বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধ

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১০:২১

রাত ১২টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ সময় গুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে মোহাম্মদ কাইফ নামের একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কাইফকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়।

কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

খোকসা শহরের বাজার এলাকায় শনিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে রাত ১২টার দিকেও।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাবুল আখতার তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে গড়াই নদীর খোকসা খেয়াঘাট দিয়ে ওসমানপুরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘাট এলাকায় ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

এ নিয়ে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় দুলালের কয়েকজন সমর্থককে মারধরের অভিযোগ ওঠে বাবুলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উভয় দলের মধ্যে।

ওসি আরও জানান, এর জেরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে খোকসা বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু দোকানপাট। ঘটনাস্থলে খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

রাত ১২টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ সময় গুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে মোহাম্মদ কাইফ নামের একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

গুলিবিদ্ধ কাইফকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি বাবুল আক্তারের সমর্থক।

এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী বাবুল আখতার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষরা খোকসা বাজারে আমার অফিসের নিচতলায় রামদা ও হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালায়। আমার লোকদের মারধর করে। তখন প্রশাসন তাদের শান্ত করে। পরে রাতে আমার সমর্থকরা বাসায় যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের একটি অংশের লোকজন যারা আমার বিরোধিতা করছে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ডাকবাংলাে রোডে আমার সমর্থকদের ওপর গুলি করে। এসব ব্যাপারে আমি মামলা করব।’

এ বিষয়ে জানতে সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার হোসেন খোকনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।

তবে রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর হোটেল মোড়ে বাবুল আখতারের সমর্থক ও জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সাবেক চেয়ারম্যানের (হবিবর রহমান হবি) ভাইকে হাতুড়িপেটা করেন। হয়তো তার লোকজন বাবুলের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বা আমার লোকজন ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নই। আমার লোকজন কোনো হামলাও করেনি।’

এদিকে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

এ বিভাগের আরো খবর