চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে পুলিশের বাধা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিয়ার শেল ও শটগানের ২৪ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। আটক করা হয়েছে ১২ নেতা-কর্মীকে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন দুলালের নেতৃত্বে শনিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় এলাকায় মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় যুবদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাদাওয়ার ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার ওসি জোবাইর সৈয়দসহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থেকে যুবদলের ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেন, ‘পুলিশ না বুঝে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাথা ঠান্ডা না রাখলে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতো।’
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমরা সাধারণের কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তাদের মিছিল ফিরিয়ে দেই।
‘পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬ রাউন্ড টিয়ার শেল ও শটগানের ২৪ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করা হয়। আমাদের ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে মিছিলে থাকা হামলাকারী বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।’