বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামুদ্রিক মাছ ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:৪৩

‘মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে, তারা অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করতে চাই। যাতে আমরা একসাথে উন্নয়ন করতে পারি।’

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা সম্প্রসারণ প্রয়োজন বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের রুপান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহায়তায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন করা সেইফ অ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘যে সমুদ্র এলাকায় আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি সেখানে বিপুলসংখ্যক মাছ আছে। অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ আহরণে আমাদের কর্মযজ্ঞ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একশ বছর মেয়াদী ডেল্টা প্ল্যান করেছে। তার বড় একটি অংশ জুড়ে আছে মৎস্য খাত, সমুদ্র ও জলাশয়।

‘মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে, তারা অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করতে চাই। যাতে আমরা একসাথে উন্নয়ন করতে পারি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সেফটি প্রকল্পের কার্যক্রম বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে মাঠ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে।

‘বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা একের পর এক সম্প্রসারণ হবে বলে প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি করা মাছের স্বাদ ও গুণগতমান ভীষণ প্রশংসা অর্জন করছে। মৎস্য খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠন একসাথে কাজ করায় এ কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের আন্তরিক ও সচেষ্ট হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর আন্তর্জাতিক কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরিয়া বেকার, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেসবাহুল আলম, সেফটি প্রকল্পের প্রধান এস এম শাহীন আনোয়ার সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর