‘চাকরিটাকে ইবাদত মনে করেছি, চাকরিজীবনে কোথাও থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা নিইনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। যতক্ষণ শ্বাস আছে, যতক্ষণ আশা আছে ততক্ষণ পুলিশ বাহিনী লড়াই করবে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিদায়ী কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম শনিবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটরিয়ামে এই সভার আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে উদ্দেশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুরো চাকরিজীবনে আপনার যে আশীর্বাদ মাথার ওপরে ছিল তা কখনোই ভুলব না। চাকরিটাকে ইবাদত মনে করেছি, চাকরিজীবনে কোথাও থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি।
‘সরকারি কর্মকর্তাকে ভালোভাবে চলতে পেছন থেকে যে সাপোর্ট দিয়েছেন, সে জন্য আপনাকে আলাদাভাবে স্যালুট ও শ্রদ্ধা।’
এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ডিএমপি কমিশনার হওয়ার পাঁচ-ছয় মাস যেতেই করোনা এসেছে। সে সময় বিধিনিষেধের কারণে স্বাভাবিক সভা-সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। সে জন্য কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জন্য আমি খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা করে গেছি।’
তিনি বলেন, ‘ইভ টিজিং, নারী নির্যাতন, যৌতুক, মাদকের মতো সামাজিক সমস্যা রোধে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আগে এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে আলাদা আইন ছিল না। পর্যায়ক্রমে অপরাধ বাড়তে থাকল, আইন হলো। পর্যায়ক্রমে আইন কঠোর থেকে কঠোর হলো।
‘কিন্তু শুধু আইন করে কী অপরাধ নির্মূল সম্ভব হয়েছে? হয়তো কমেছে। কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। এসব সামাজিক সমস্যা যদি সবাই মিলে প্রতিরোধ করি তাহলেই এ অপরাধ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।’
বিদায়ী এই কমিশনার বলেন, ‘প্রত্যেক মাদকসেবী মাদকের টাকা জোগাড় করতে অপরাধে জড়ায়। একসময় মাদক কারবারে জড়ায়। একজন মাদক কারবারিকে ধরলে শত শত ব্যবসায়ী তৈরি হচ্ছে।
‘আজ যে মাদক খায় সেই ভবিষ্যতের কারবারি। সামাজিকভাবে সবাই মিলে এটা প্রতিরোধ করতে না পারলে শুধু জেল দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। আমরা সমাজে বাস করি, আমরাই নির্ধারণ করব আমাদের সমাজ কেমন হবে। সবাই হাত মেলালে সমাজের গুটি কয়েক দুর্বৃত্ত পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।’