বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রংপুরে সমাবেশের মঞ্চে ফখরুল

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:২৮

বিএনপিকর্মী মোকছেদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার যখন কোনোভাবে লোক আসা ঠেকাতে পারে না, তখন ধর্মঘট দিয়ে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলার প্রয়োজন হয় না। সমাবেশে মানুষ আসা ঠেকাতে পারবে না কেউ।’

রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চে উঠেছেন দলের মহাসচিব ও সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে রংপুর কালেক্টরেট মাঠের এই সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন তিনি। সঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।

সমাবেশের মূল মঞ্চ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে মানুষজন ছড়িয়ে পড়েছে। রংপুরের রাধাবল্লভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, সুরভী উদ্যান, সিটি বাজার, পায়রা চত্বর ও জাহাজ কোম্পানি, বঙ্গবন্ধু চত্বর পর্যন্ত মানুষের সমাগম।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও দূব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ নানান দাবিতে হচ্ছে এই সমাবেশ।

বিএনপিকর্মী মোকছেদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার যখন কোনোভাবে লোক আসা ঠেকাতে পারে না, তখন ধর্মঘট দিয়ে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলার প্রয়োজন হয় না। সমাবেশে মানুষ আসা ঠেকাতে পারবে না কেউ।’

আরিফ হোসেন বলেন, ‘মানুষ আমাদের গালি দেয়। বলে তোরা যে দল (বিএনপি) করিস সে দলের অস্তিত্ব নাই। অথচ কত মানুষ আসছে।’

সমাবেশস্থল ও আশপাশ ঘুরে দেখা গেছে, সমাবেশকে ঘিরে মামলা, গ্রেপ্তারে দীর্ঘদিন কোণঠাসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত।

নাগেশ্বরী থেকে আসা মোখলেছুর বলেন, ‘মানুষ বলে বিএনপি নাই, আজ দেখুক বিএনপি আছে না নাই। আমরা বিএনপির সাথে ছিলাম, আছি।’

দুপুর ১২টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়।

বিএনপির পূর্বঘোষিত এই সমাবেশে আসতে পরিবহন-সংকট এবং পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে নেতা-কর্মীদের। এ অবস্থাতেই নানা কৌশলে সমাবেশে যোগ দিতে রংপুরে ঢোকেন তারা।

আগের দিন রংপুরে আসেন অনেক নেতা-কর্মী। শনিবার সকালেও এসেছেন অনেকে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন তারা। নেতা-কর্মীদের মিছিলে মুখর হয়ে ওঠে পুরো শহর। জাতীয় ও দলীয় পতাকা, হাতে ধানের শীষ, বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে ছোটেন তারা।

সকাল থেকে রংপুরের বিভিন্ন প্রবেশমুখ ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রত্যেকটি প্রবেশমুখে শত শত নেতা-কর্মী। কেউ স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ অপেক্ষা করছিলেন তখনও রংপুর আসতে না পারা নেতা-কর্মীদের জন্য।

বেলা ১১টার দিকেই সমাবেশস্থল রংপুর কালেক্টরেট মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোক বাড়তে থাকে।

সমাবেশ ঘিরে নগরীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রবেশদ্বার এবং গৃরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে রয়েছে পুলিশ। পোশাকি ছাড়াও সাদাপোশাকে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে তারা।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, দূব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রংপুর গণসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

এ বিভাগের আরো খবর