নওগাঁর মহাদেবপুরে তিনটি কারখানায় রং, চিনি, আটা, সুজি ও চিটাগুড়ের মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছিল ‘আখের গুড়’।
খবর পেয়ে উপজেলার মথুরাপুর ও কৃষ্ণপুর এলাকায় এসব কারখানায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর গুড় তৈরির দায়ে তিন কারখানা মালিককে ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৬০০ কেজি ভেজাল আখের গুড় এবং ৪০০ কেজি নিম্নমানের চিটা গুড় ধ্বংস করা হয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মহাদেবপুরের মথুরাপুর ও কৃষ্ণপুর এলাকায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, মথুরাপুর ও কৃষ্ণপুর এলাকায় তিনটি ভেজাল গুড় কারখানাকে ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সব কারখানায় টেক্সটাইল রং, চিনি, আটা, সুজি, চিটাগুড় ব্যবহার করে ‘আখের গুড়’ তৈরি হচ্ছিল। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে গুড় তৈরির অপরাধে কারখানার মালিক জিল্লুর হোসেনকে ২০ হাজার, কালাম হোসেনকে ৩৪ হাজার এবং আব্দুল মালেককে ২০ টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের কারখানার ৬০০ কেজি ভেজাল আখের গুড় এবং প্রায় ৪০০ কেজি নিম্নমানের চিটাগুড় আমরা ধ্বংস করি।’
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান, কোম্পানি উপ-অধিনায়ক (সিনিয়র এএসপি) মাসুদ রানা ও জেলা গ্রন্থাগারিক এস এম আশিফ উপস্থিত ছিলেন।