বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিজার্ভ এখনও বিএনপি আমলের ১২ গুণ: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৪০

বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেকটাই কমে গেলেও এখনও তা বিএনপির আমলের ১২ গুণ বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

‘সরকার রিজার্ভ গিলে খেয়েছে’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তার জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের টাকা গিলে খাওয়া, দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং বিশ্বচোর হিসেবে খেতাব পাওয়া বিএনপি এখন বড় গলায় কথা বলছে।’

রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন হাছান।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম। আমাদের নেত্রী, আমাদের সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন।

‘এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে, দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে গেছে। এরপরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।’

রিজার্ভ নিয়ে কী আলোচনা

আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়ছিল ক্রমাগত। করোনার সময় এট স্ফীত হয় আরও বেশি। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে টানা এক বছর বাংলাদেশ ব্যাংক খোলাবাজার থেকে সরকার ডলার কিনছিল। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সরকার ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলার স্বপ্নে ছিল।

তবে করোনা শেষে আমদানি বৃদ্ধি, পণ্যমূল্য বিশেষ করে জ্বালানির দরে ঊর্ধ্বগতির কারণে রিজার্ভ ক্রমেই কমছে। ১০ অক্টোবর তা নেমে আসে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে যাওয়া নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, রিজার্ভ দিয়ে জনগণের জন্য কেনাকাটা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি একটি আয়োজনে বলেন, ‘যারাই প্রশ্ন করলেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটাকে কেউ চিবিয়ে খায়নি, এটা মানুষের কাজেই লাগছে, মানুষের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আমদানিতে, বিভিন্ন কাজে আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’

সেদিনই মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পায়রা বন্দর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা রিজার্ভ চিবিয়ে খেয়েছি? রিজার্ভ চিবিয়ে খাওয়া যায় না, সরকার গিলে খেয়েছে। রিজার্ভের টাকা আমদানিতে ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও সে টাকা অন্য খাতে ব্যয় হয়েছে।’

শুধু খাওয়ার কথাই চিন্তা করে বলেই মির্জা ফখরুল রিজার্ভ গিলে খাওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।

‘বিশ্বচোর বিএনপি বড় গলায় কথা বলছে’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খাওয়া ভবন করে জনগণের টাকা গিলে খাওয়া দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বচোর উপাধি পাওয়া বিএনপির এখন বড় গলা।

‘চোরের মায়ের বড় গলা প্রবাদের মতো এখন বিশ্বচোরদের গলা বড়। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধি পেয়েছিল। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা, এখন বিশ্বচোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।’

বিএনপি আমলের ‘হাওয়া ভবন’কে মন্ত্রী বলেছেন ‘খাওয়া ভবন’। তিনি বলেন, ‘হাওয়া ভবন তো আসলে একটা খাওয়া ভবন ছিল। কারণ জনগণের টাকা ওখানে খাওয়া হতো। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সমস্ত ব্যবসা, সমস্ত প্রজেক্টের ওপর টোল বসিয়েছিল এবং জনগণের টাকাটাই গিলে খেতো তারা।’

‘ধর্মঘট ডাকা মালিকদের মধ্যে বিএনপির সদস্যরাও আছেন’

বিএনপির প্রতিটি বিভাগীয় সমাবেশের সময় যারা বাস ধর্মঘট ডাকছেন, তাদের মধ্যে বিএনপি করা মালিকরাও আছেন বলে জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে তো পরিবহন মালিক-শ্রমিক সবাই চেনে। কারণ ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি পরিবহনের ওপর অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তারা শত শত গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিয়েছে, শত শত মানুষ হত্যা করেছে। এজন্য এখন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা শঙ্কিত। ফলে বিএনপি যেখানেই সমাবেশ ডাকে, সেখানেই তারা ধর্মঘট ডাকছে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবহন মালিক নেতা এবং সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন দলেরই মানুষ আছে। শিমুল বিশ্বাস তো পরিবহন নেতা, তিনি তো বিএনপি করেন। উনারাই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট ডাকার।’

পরিবহন মালিকরা যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সে জন্য সবাই মিলেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও মনে করেন হাছান মাহমুদ।

এ বিভাগের আরো খবর