বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস মালিকরা ভীত কেন, তাদেরই জিজ্ঞেস করুন: ফখরুলকে কাদের

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৪৭

‘বিএনপির বড় নেতা শিমুল বিশ্বাসও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাকেই জিজ্ঞেস করুন কেন ধর্মঘট করেছে? সব দলের সমন্বয়ে মালিক সমিতি, সেখানেও প্রেসিডেন্ট হচ্ছে জাতীয় পার্টির, জেনারেল সেক্রেটারি আওয়ামী লীগ সমর্থিত, অন্যান্য সব দলেরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তাদের জিজ্ঞেস করুন কেন তারা আপনাদের ভয় পায়, কেন ২০১৩-১৪ সালের দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি, তাদের জিজ্ঞেস করুন।’

পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সরকারের প্রতি অভিযোগ না করে পরিবহন মালিকরা কেন বিএনপিকে ভয় পায়, সেটি তাদেরই জিজ্ঞেস করতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেছেন, বাস মালিক সমিতিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারাও আছেন। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টাও আছেন। সেখানে সরকারের নির্দেশ খাটে না।

শুক্রবার রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সময় একের পর এক পরিবহন ধর্মঘট ডাকা নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বাস মালিকদের সতর্ক করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন কাদের।

পরিবহন মালিকরা মহাসড়কে তিন চাকার ধীরগতির যানবাহন বন্ধসহ নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেও আওয়ামী লীগ নেতা তোলেন বিএনপি-জামায়াত জোটের অতীতের আন্দোলনে সহিংসতার প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালে যখন শত-শত গাড়ি বিএনপি ভাঙচুর করেছিল, পেট্রল নিক্ষেপ করে গাড়ি ও পরিবহন শ্রমিকদের পুড়িয়ে মেরেছিল, পরিবহন শ্রমিকদের রিজিকের ওপর হাত দিয়েছিল এবং মালিক শ্রমিক পরিবারকে নিঃস্ব করেছিল। তারা সেটা এখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিএনপির সেই আগুন সন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ অক্টোবর রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে চতুর্থ গণসমাবেশের ঘোষণা রয়েছে তাদের।

চট্টগ্রামের সমাবেশ নির্বিঘ্ন হলেও ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ এবং ২২ অক্টোবর খুলনার মালিক সমিতিও বাস ধর্মঘট ডেকেছিল নানা দাবিতে। আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে সমাবেশের ১০ দিন আগে ২৬ অক্টোবর সেখানকার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর তারা বাস চালাবেন না। দাবি হিসেবে মহাসড়কে তিন চাকার ধীরগতির যানবাহন বন্ধের বিষয়টি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিকদের সতর্ক করেন মির্জা ফখরুল। এতদিন সরকারকে দোষারোপ করলেও সেদিন তিনি বলেন, ‘বাস মালিক ও শ্রমিকদের বলছি, কাদের সহায়তায় এটা করছেন, যারা দেশ ধ্বংস করেছে, এটা করবেন না। জনগণের বিপক্ষে যাবেন না।’

আরও পড়ুন: ধর্মঘট: বাস মালিকদের বিএনপির সতর্কতা

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিবহন মালিক শ্রমিক নির্দিষ্ট কোনো দলের নন, এখানে সব দলেরই লোক আছে। পরিবহন মালিক সংগঠনের সভাপতি আওয়ামী লীগের, সাধারণ সম্পাদক বাসদের, বিএনপির বড় নেতা নেতা শিমুল বিশ্বাসও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাকেই জিজ্ঞেস করুন কেন ধর্মঘট করেছে?

‘সব দলের সমন্বয়ে মালিক সমিতি, সেখানেও প্রেসিডেন্ট হচ্ছে জাতীয় পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আওয়ামী লীগ সমর্থিত, অন্যান্য সব দলেরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তাদের জিজ্ঞেস করুন কেন তারা আপনাদের ভয় পায়, কেন ২০১৩-১৪ সালের দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি, তাদের জিজ্ঞেস করুন।’

খুলনায় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

রিজার্ভ কত রেখে দিয়েছিলেন মনে আছে?

দেশের রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার পর বিএনপি নেতাদের বক্তব্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের জানতে চান বিএনপির আমলে দেশের রিজার্ভ কত ছিল।

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ কত রেখে গিয়েছিলেন মনে আছে? যখন ক্ষমতা ছেড়েছেন তখন যা রেখে গিয়েছিলেন, তা পাঁচ বিলিয়নেরও কম। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ উঠেছিল।

‘আজ বৈশ্বিক সংকটের কারণে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে ৩৬ বিলিয়নে এসে ঠেকেছে। এ সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, দুনিয়ার সব উন্নত দেশ হিমশিম অবস্থায় রয়েছে। বিএনপির রিজার্ভের ভান্ডার ছিলো শূন্য, এখন তারা কোন মুখে রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে?’

বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী ৫ থেকে ৬ মাস আমদানি করা যাবে বলেও জানান সড়ক মন্ত্রী।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে শনিবার রাজধানীতে ঢাকা জেলা সম্মেলনের দিকে চোখ রাখতে বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, জনসমাগম কাকে বলে, সেটি বিএনপিকে বুঝিয়ে দেবেন তারা।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে কোনো লাভ হবে না বলেও জানিয়ে দেন কাদের। বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে।

এ বিভাগের আরো খবর