নরসিংদীতে মেঘনায় নিখোঁজ দুই কোরআনে হাফেজের একজনের মরদেহ খুঁজে পেয়েছে ডুবুরি দল।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এর আগে, চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নে অবস্থিত চর আফজাল নামে একটি পার্কে বাৎসরিক ভ্রমণে যায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে নদীতে নিখোঁজ হন ওই দুইজন।
করিমপুর নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিখোঁজ দুইছাত্রের মধ্যে গালিব মিয়াকে খুঁজে পাওয়া গেছে। বাকি একজনকে খুঁজতে মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশসহ নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিরা কাজ করছেন।’
নিখোঁজের সহপাঠীর বরাতে তিনি বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে ফুটবল খেলা শেষে অন্যদের সঙ্গে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায় দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তারা হলেন, পলাশ থানার ঘোড়াশাল পৌরসভার দড়িপাড়া গ্রামের পত্রিকার অ্যাজেন্ট আজিজুল হকের ১৫ বছর বয়সী ছেলে মো. গালিব মিয়া ও রায়পুরা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের হারুন মিয়ার ১৭ বছর বয়সী সহিদুল ইসলাম মাহফুজ। তারা দুজনেই সদর উপজেলা ঘোড়াদিয়া মুহম্মদীয়া ইন্টারন্যাশনাল তাহফুজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও দুইজনই কোরআনে হাফেজ।’
গালিবের বাবা আজিজুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘোড়াদিয়া মুহম্মদীয়া ইন্টারন্যাশনাল তাহফুজুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়েছেন। গালিব নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আমরা নদীতে আসি। ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা। তার দেহ বাড়িতে নেয়ার অপেক্ষায় আছি।’
ঘোড়াদিয়া মুহম্মদীয়া ইন্টারন্যাশনাল তাহফুজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক সফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, গতকাল আমাদের মাদ্রাসার বার্ষিক ভ্রমণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই মাদ্রাসা থেকে শিক্ষকসহ ৩২ জন আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজাল পার্কে ভ্রমণে যায়।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামেন সবাই। এর মধ্যে ৩০ জন ফিরে আসি। আজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাহফুজের খুঁজে পেতে আমরা এখনো নদীতে আছি।’