বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রংপুরে বিএনপির সমাবেশকে পাত্তা দিচ্ছে না আ.লীগ

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৫৬

রংপুরে জাতীয় পার্টির সমাবেশ হয়ে গেছে দুই দিন আগে। শনিবার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এতে বিপুল লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তবে ক্ষমতাসীন দল বলছে, তারা বিচলিত নয়। তাদের অবস্থান সুদৃঢ়।

আগামী ২৯ অক্টোবর শনিবার রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশকে ঘিরে পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড থেকে উপজেলা, জেলা পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ, সভা সমাবেশসহ ব্যাপক শোডাউন করছে দলটি। টার্গেট খুলনা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের চেয়ে রংপুরে গণসমাবেশে উপস্থিতি বেশি দেখানো।

এদিকে গত মঙ্গলবার রংপুরে একটি বড় শোডাউন করেছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি ও বিএনপির পর পর সমাবেশকে ঘিরে রংপুর অঞ্চলের রাজনীতিতে সরগরম আলোচনা তৈরি হয়েছে। এই সমাবেশগুলো থেকে আগামী নির্বাচনের নতুন বার্তা আসবে কি না- এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে এই দুই দলের সমাবেশকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

নেতারা বলছেন, রংপুর অঞ্চলে আওয়ামী লীগ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সৃদঢ়, মজবুত। কোনো সভা-সমাবেশ বা হুমকি-ধমকিতে আওয়ামী লীগ বিচলিত হওয়ার দল নয়।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘তাদের এসব সম্মেলন-সমাবেশ নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত নই। দীর্ঘদিন বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থেকেও রংপুরের কোনো উন্নয়ন করেনি। এ অঞ্চলের মানুষ এই দুই দলের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যতই আন্দোলন-সংগ্রাম, সমাবেশ করুক, দেশের সাধারণ মানুষ জানে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। গালগল্প এখন মানুষ বিশ্বাস করে না, মানুষ চায় উন্নয়ন। সুতরাং এই দৃশ্যমান উন্নয়ন থেকে সাধারণ মানুষকে বিমুখ করা সহজ নয়।’

তবে স্বীকার না করলেও একেবারে স্বস্তিতে নেই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করে পাল্টা কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়ে ছক আঁকছে তারা। ২৭ অক্টোবর ছাত্রলীগের ঘোষিত বিভাগীয় ছাত্রসমাবেশ পেছানো হয়েছে ১৯ নভেম্বর। পাল্টা কর্মসূচির এই সমাবেশে সর্বোচ্চ উপস্থিতির পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে রংপুরে বিভিন্ন ইস্যুতে সভা-সম্মেলন-সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। নতুন করে আর পাল্টা কর্মসূচি দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা কিছুদিন আগে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সম্মেলন করেছি। কমিটি দিয়েছি। ছাত্র সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি হবে।’

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই কর্মসূচি করছি। এখানকার রাজনীতির মাঠ আমাদের দখলে, আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত। বিএনপি-জাপার সমাবেশ-সম্মেলনের পর আর পাল্টা কর্মসূচি দেয়ার দরকার নেই।’

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের যৌথ হামলা ইত্যাদির মাধ্যমে বিএনপির সমাবেশ ঠেকানোর চেষ্টার পরও রংপুরে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি হবে। এমনকি চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার চেয়েও রংপুরে বেশি মানুষ হবে।’

তিনি বলেন, ‘রংপুরের সমাবেশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো মানুষ আসবে। কোনো বাধা-বিপত্তি সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এই সমাবেশ থেকে হাসিনা পতনের আন্দোলন শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রংপুরের নেতা-কর্মীরা সমাবেশের জন্য জিলা স্কুল মাঠ বরাদ্দের আবেদন করেন। কিন্তু সেখানে ব্যাপক সমাগম হওয়ার ভয়ে পাশের ঈদগাহ মাঠে অনুমতি দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর