বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাষাসৈনিক রকিবের বাড়ি দখলচেষ্টার অভিযোগ

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:৩৩

রকিবের বাড়িটি নওগাঁ পৌরসভার চকদেব ডাক্তারপাড়া এলাকার সরিষাহাটির মোড়ে অবস্থিত। এর নাম দ্বীন মঞ্জিল। এই বাড়ির উঠানে শিক্ষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চর্চা হতো। নওগাঁবাসীর কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এম এ রকিবের বাড়ি দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

রকিবের ছোট মেয়ে তানজিনা শিরিন বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলেছেন।

রকিবের বাড়িটি নওগাঁ পৌরসভার চকদেব ডাক্তারপাড়া এলাকার সরিষাহাটির মোড়ে অবস্থিত। এর নাম দ্বীন মঞ্জিল। এই বাড়ির উঠানে শিক্ষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চর্চা হতো। নওগাঁবাসীর কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

রকিবের মেয়ে শিরিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৯ অক্টোবর স্থানীয় প্রভাবশালী কাজী আবু সাঈদের নির্দেশে এক দল সন্ত্রাসী ওই বাড়িতে গিয়ে কেয়ারটেকার সুবির প্রামাণিক ও তার পরিবারকে উচ্ছেদ করে। বাড়িতে ভাঙচুর চালায়, লুট করা হয় অর্ধকোটি টাকার সরঞ্জাম। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে তারা বাড়ির দখল নিতে পারেনি। নওগাঁ জেলা ও জজ আদালত ওই জমির ওপর গত সোমবার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (ইনজাংকশন) জারি করে।

শিরিন জানান, পৈতৃক সূত্রে ৪৪ কাঠা জমির ওপর গড়া বাড়িটির অংশীদার এম এ রকিবের পাঁচ সন্তান।

তিনি বলেন, ‘বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আমার এক ভাই ইশতিয়াক আহম্মেদ ও বোন ফাহমিদা জেরিন প্রতারণা করে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বসতবাড়ির সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেন। পরবর্তী সময়ে বাবা বিষয়টি বুঝতে পেরে ২০০০ সালে আদালতে দলিল রহিতের মামলা করেন। মামলাটি চলমান।

‘এ অবস্থায় গত ৯ অক্টোবর স্থানীয় প্রভাবশালী কাজী আবু সাঈদ ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবি করে সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে জোরপূর্বক বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী, থানা পুলিশ ও আদালতের আদেশের ফলে বর্তমানে তারা পিছু হটলেও আমার আশঙ্কা, যে কোনো সময় সন্ত্রাসীরা আবারও সেটা দখল করে নিতে পারে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী আবু সাঈদ বলেন, ‘দ্বীন মঞ্জিলে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে সম্পত্তি আমি এম এ রকিবের ছেলে ইশতিয়াক আহম্মেদ ও মেয়ে ফাহমিদার জেরিনের কাছ থেকে কিনেছি।

‘গত ২০ বছর ধরে এম এ রকিবের অন্য ছেলে-মেয়েদের বিরোধিতার কারণে ওই সম্পত্তি দখলে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতের রায় যেটা আসবে আমি সেটাই মেনে নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর