রিজার্ভ কেউ চিবিয়ে খায়নি বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখার কয়েক ঘণ্টা পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রিজার্ভের টাকা সরকার গিলে ফেলেছে।’
যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ডাকা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পায়রা বন্দর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা রিজার্ভ চিবিয়ে খেয়েছি? রিজার্ভ চিবিয়ে খাওয়া যায় না, সরকার গিলে খেয়েছে। রিজার্ভের টাকা আমদানিতে ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও সে টাকা অন্য খাতে ব্যয় হয়েছে।’
সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণেই অর্থনীতি এ অবস্থায় এসে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পায়রা বন্দর সফল হবে না। কারণ, সেখানে নাব্য সংকট রয়েছে আর ড্রেজিং বাবদ টাকা খরচ করা হচ্ছে লুটপাটের জন্য।’
করোনার সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তরতর করে বাড়ছিল। সে সময় খোলাবাজার থেকে সরকার ডলার কিনছিল। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সরকার ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলার স্বপ্নে ছিল।
তবে করোনা শেষে আমদানি বৃদ্ধি, পণ্যমূল্য বিশেষ করে জ্বালানির দরে ঊর্ধ্বগতির কারণে রিজার্ভ ক্রমেই কমছে। ১০ অক্টোবর তা নেমে আসে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে।
আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
মির্জা ফখরুল যেদিন রিজার্ভ নিয়ে কথা বললেন, সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘরের টাকা ঘরে থাকবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। এটা হয়তো অনেকে ভাবতে পারেন যে রিজার্ভের টাকা কেন খরচ করা হচ্ছে? বা রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়?
‘যারাই প্রশ্ন করলেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটাকে কেউ চিবিয়ে খায়নি, এটা মানুষের কাজেই লাগছে, মানুষের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আমদানিতে, বিভিন্ন কাজে আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’