কুমিল্লার দেবিদ্বারে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগে তার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নারীর হাত গাছে বাঁধা- এমন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
দেবিদ্বারের ধামতী ইউনিয়নের কোরেরপাড় এলাকার বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই নারীর স্বামী ওমান প্রবাসী। গ্রামে শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘শাশুড়ি ও ননদ ওই নারীকে বাড়ির পাশে খাল থেকে বাঁশ তুলতে বলেছিল। তা না করায় তাকে গাছে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।’
মারধরের শিকার নারীর মা ও ভাই নিউজবাংলাকে জানান, বিয়ের পর থেকেই ওই নারীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরমধ্যেই এত বছর সংসার করেছেন।
গৃহবধূর ভাই বলেন, ‘ঘটনার দিন গলা সমান খালের পানি থেকে বাঁশ না তোলায় আমার বোনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে। আমরা ঘটনায় মামলা করব।’
এ বিষয়ে ওমান থেকে মুঠোফোনে ওই নারীর স্বামী হেলাল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বোন তাকে চড় দিয়েছিল। সে ক্ষোভে ফাঁসি দিতে নিয়েছিল। একারণে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলতে বলেছি আমিই। এর বেশি কিছু না।’
ধামতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মিঠু বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি, খুবই বর্বর ও পাশবিক। এলাকার লোকজন আমার কাছে নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধুর আইনি পদক্ষেপ নিতে সহযোগিতা করব।’
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী হাসপাতালে এসেছেন। আমার নারী সহকর্মীরা জানিয়েছেন ওই গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে ভর্তি করানো হয়েছে।’