গাইবান্ধা-৫ আসরে উপনির্বাচনে ভোট নিয়ে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। ইসির সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের হাতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
নির্ধারিত সময় ৭ দিনে তদন্ত শেষ না হওয়ার পর আরও বর্ধিত তিন দিন মিলিয়ে মোট ১০ দিনে এই তদন্ত শেষ হলো।
প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করেছেন, জানতে চাইলে কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।’
১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বাতিল করা হয়। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ভোটাররা আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার পর গোপন কক্ষে থাকা অননুমোদিত ব্যক্তিরা গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দিয়েছেন বা নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে প্ররোচিত করেছেন।
এসব অভিযোগে একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের পর বেলা আড়াইটার দিকে গোটা নির্বাচন বাতিল করে দেয়া হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটেছে।
স্পষ্টত অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগের দিকে। তবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ভোট বাতিলের কথা জানিয়ে কার দোষে এমনটি হলো, সেটি জানার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটি প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির অপর দুই সদস্য ছিলেন সংস্থাটির যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
তদন্ত কমিটি নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছে।