বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এই সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ধরে রাখার মতো নেতৃত্ব যদি কেউ থেকে থাকেন, তিনি হলেন শেখ হাসিনা।
পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি সংকটসহ বাংলাদেশ যে সমস্যাগুলো মোকাবিলা করছে, সেটি কেবল এ দেশের নয়, উন্নন বিশ্বও একই সমস্যায় ভুগছে বলেও জানান তিনি। এই সংকটকে পুঁজি করে, বিশেষ করে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থাকতে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও যোগ করতে পারেনি, তাদের এ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
কাদের বলেন, ‘বিশ্ব আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট অতিবাহিত করছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রেই খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। যার অভিঘাতে আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটের মুখোমুখি বাংলাদেশও।
‘মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি মারাত্মকভাবে অবনমনের দিকে। নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত ও গরিব দেশসমূহকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের সরকার স্থিতিশীলতা বজায় রেখে সংকট মোকাবিলায় প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
কাদের বলেন, ‘এ কথা আজ প্রমাণিত যে, বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ধরে রাখার মতো নেতৃত্ব যদি কেউ থেকে থাকেন, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি অতীতের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা অব্যাহত রাখুন। শেখ হাসিনার গৃহীত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রতি ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হব।’
‘বিএনপির বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন’বৈশ্বিক এই সংকটময় পরিস্থতি বিবেচনা না করে বিএনপির নেতারা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘কথায় কথায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন বিশ্বের সব দেশের সরকারই কি তাহলে পদত্যাগ করবে?’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি বিরোধীদলেরই দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলামরা দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা পালন না করে তাদের চিরায়ত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন।’
কাদের বলেন, ‘দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল: গণবিরোধী নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
‘সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মপ্রয়াসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন।
‘যাদের সময় বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় জনগণের বুকে গুলি চালানো হয়েছিল, যারা জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিটও বিদ্যুৎ জোগান দিতে পারেনি। তারা আজকের সংকট নিয়ে অর্বাচীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।’